প্রস্তুতি ম্যাচে আলো ছড়ালেন নাফীস-সৌম্য-সাব্বির

হাফসেঞ্চুরির পর শাহরিয়ার নাফীসদুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছিল একদিনের ম্যাচ। সে কারণেই দুই দল ৪৫ ওভারের ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নেয়। হার-জিত নয়, চেষ্টা ছিল নিজেদের ব্যাটিং-বোলিং ঝালিয়ে নেওয়ার। ৪৫ ওভারের ম্যাচে সেই সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে বিসিবি একাদশ ও ইংল্যান্ড একাদশের খেলোয়াড়রা।

খেলোয়াড়দের এই প্রচেষ্টায় শতভাগ সফল বলা চলে বেন ডাকেট, শাহরিয়ার নাফীস ও সৌম্য সরকারকে। সাব্বির ব্যাট হাতে ৩০ রানের পাশাপাশি ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের নাস্তানাবুদ করে তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছেন।

সকালে ম্যাচের শুরুতে আলো ছড়ান সাব্বির। তার লেগ স্পিনে বধ হন তিন ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ‘বেবি বয়কট’ খ্যাত হাসিব হামিদকে (১৬) আউট করার পর জো রুটকে (২) সাজঘরের পথ দেখান সাব্বির। তার তৃতীয় শিকার হন মঈন আলী (২৪)।

প্রথমে ব্যাটিং করে ৪৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। জবাবে বিসিবি একাদশ ১ ওভার কম খেলে ৪ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৩৬ রান। আলোর স্বল্পতায় হয়নি বাকি ১ ওভার।

শনিবার এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে দুই দলের দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আলো ছড়িয়েছেন। বেন ডাকেট ৬৩ বলে ৬ বাউন্ডারিতে করেছেন ৫৯* রান; অন্যদিকে শাহরিয়ার নাফিস ৭৯ বলে ৫ বাউন্ডারিতে করেছেন ৫১*রান।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া বেট ডাকেট ভালো পারফরম্যান্স করায় নিশ্চিতভাবেই থাকছেন টেস্ট স্কোয়াডে। অন্যদিকে শাহরিয়ার নাফীসকে নিয়ে রয়ে গেছে ধোঁয়াশা। যদি থাকেনও ওপেনিংয়ে খেলা হচ্ছে না তার, এটা এক রমক নিশ্চিত ভাবেই বলা যাচ্ছে। কারণ তামিমের সঙ্গে প্রথম পছন্দ ইমরুল কায়েস।

তারপরও শাহরিয়ার নাফীস খেলে যাচ্ছেন দূর্দান্ত। এ দিন ব্রডের বলে কাভার দিয়ে বাউন্ডারি মেরে রানের খাতা খোলার পর একই জায়গা দিয়ে দ্বিতীয় বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। ব্রডের বলে পাওয়া তৃতীয় বাউন্ডারিটি আসে কাভার দিয়ে। দারুণ ড্রাইভে বল ব্যাটের ছোঁয়া পেতেই বাউন্ডারির লাইনে পৌঁছায়। স্পিনার বেটির বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে আসে তার চতুর্থ বাউন্ডারি।

হাফসেঞ্চুরির আগে অবশ্য ৩৫ রানে পেয়েছিলেন জীবন। আনসারির বলে স্লগ সুইপে মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন নাফীস। মঈন আলী সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করে ইংলিশদের উইকেটের অপেক্ষায় রাখেন। জীবন পেয়ে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৫৯ রানে রিটায়ার্ড আউট হন নাফীস।

এছাড়া অফফর্মে থাকা সৌম্য সরকার এ দিন দিয়েছেন ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত। ৯৬ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় তার ৩৩ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। এছাড়া অধিনায়ক সাব্বির ৩০ ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান।

আগে ব্যাটিং করে বেন ডাকেটের হাফসেঞ্চুরিতে ইংলিশরা ১৩৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন ডাকেট (৫৯)। হাফসেঞ্চুরিয়ান ডাকেট রিটায়ার্ড আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন রুট। অবশ্য সাব্বিরের বলে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডাব্লিউর শিকার ওয়ানডে সিরিজে বিশ্রামে থাকা রুট।

এরপরই হাসিব হামিদ হন সাব্বিরের লেগ স্পিনের শিকার। লাফিয়ে উঠা বলে ধরাশয়ী ১৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। এরপর মঈন আলী কাভারে রাব্বীর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন। সাব্বিরের তৃতীয় শিকার হন মঈন। ইংলিশদের হারনো তিনটি উইকেটের সবগুলোর মালিক  সাব্বির রহমান। এ দিন ৯ ওভার বোলিং করে ২৭ রান খরচায় তিনি তিনটি উইকেট নিয়েছেন।

/আরআই/কেআর/