চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ

বাংলাদেশের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জরবিবার ম্যাচের চতুর্থ দিনে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হচ্ছে স্বাগতিকদের। তৃতীয় দিন শেষে তেমন কিছুই উঁকি দিচ্ছে! ইংলিশরা ২৭৩ রানে এগিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শুরু করবে। তাদের হাতে দুই উইকেট থাকলেও; এরই মধ্যে যতটুকু সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে তাতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে টাইগারদের-যেটা এক প্রকার নিশ্চিত।

বাংলাদেশ অবশ্য আশাবাদী রবিবার প্রথম সেশনের শুরুতে দ্রুত ইংলিশ দুই ব্যাটসম্যানকে বিদায় করে দিয়ে ৩০০ রানের নিচে তাদের আটকে রাখতে পারবে। তারপরও ৩০০ কিংবা তার আশপাশের রান তাড়া করে জেতার মতো রেকর্ড ভালো নয় টাইগারদের।

এই কারণেই টাইগারদের সামনে রবিবার কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। চতুর্থ ইনিংসে সাকিবের ব্যাট বরাবরই হাসে। হয়তো ম্যাচের চতুর্থ দিন কিংবা পঞ্চম দিনে সাকিব এমন কিছুই করবেন! সেটি হলে বাংলাদেশ রান তাড়া করার হিসেবে তৃতীয় জয় পাবে!

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৭টিতে। এর মধ্যে রান তাড়া করে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ২টি টেস্ট। যার মধ্যে একটি জয় এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অন্যটি এসেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। 

ইংলিশদের বিপক্ষে ২০১০ সালে চট্টগ্রামেই চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করে হারার রেকর্ড রয়েছে। তাদের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩১ রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এ রান করেছিল টাইগাররা। ২০১০ সালে চট্টগ্রামেই ৫১৩ রান তাড়া করতে নেমে ১৮১ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।

এছাড়া ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৪৬৭ রান তাড়া করতে নেমে ২৭১ রান তুলে ম্যাচ বাঁচায় বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে মুমিনুল হক সেঞ্চুরি (১০০) ও সাকিব (৪৩) রান করেছিলেন।

এর আগে ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ৩৭৪ রান তাড়া করতে নেমে ২৮৫ রান করে ম্যাচ ড্র করে বাংলাদেশ। নাফিস ইকবালের ব্যাট থেকে এসেছিল ১২১ রান।

চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করে দুটি জয়ের একটি ২০০৯ এবং অন্যটি ২০১৪ সালে। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গ্রেনাডায় বাংলাদেশ জিতেছিল ৪ উইকেটের ব্যবধানে। সাকিব আল হাসানের অন্যবদ্য অপরাজিত ৯৬ রানে চার উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।

অন্যদিকে রান তাড়া করে সর্বশেষ ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ২০১৪ সালে মিরপুরে। ওই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেটে জয় পেয়েছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। ১০১ রানের সহজ লক্ষ্যের বিপরীতে বেশ কষ্ট করেই জিততে হয়েছিল টাইগারদের।

/এফআইআর/