কুকের কাছে ‘দুর্দান্ত এক টেস্ট’

alastair-cook-england-test_3284655দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি ২২ রানে জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। আগামী ২৮ অক্টোবর সিরিজের শেষ টেস্টটি অনুষ্ঠিত হবে। উত্তেজনাকর সব মুহূর্তের জন্ম দিয়ে শেষ হওয়া চট্টগ্রাম টেস্টে মুগ্ধ ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক, ‘দুর্দান্ত এক টেস্ট, যেখানে রোমাঞ্চের কমতি ছিল না। পুরো টেস্টেই এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যা ভীষণ রোমাঞ্চকর।’

চট্টগ্রাম টেস্টর টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে অ্যলিস্টার কুক মনে করেন দ্বিতীয় ইনিংসে স্টোকস-বেয়ারস্টোর জুটি। দল যখন ৬২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুকছিল, তখনই ত্রাণকর্তায় ভূমিকায় এই দুই ব্যাটসম্যান। ষষ্ঠ উইকেটে এই তারা ১২৭ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করেন।

ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে অ্যালিস্টার কুক এটাকেই মনে করছেন, ‘তৃতীয় দিনে আমাদের দ্রুত ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর স্টোকস-বেয়ারস্টো দুইজন মিলে যে জুটিটা গড়েছিল, সেটাই আমাদের এগিয়ে নিয়ে গেছে। আমি মনে করি ম্যাচের এটাই টার্নিং পয়েন্ট।’

পঞ্চম দিন সকালে মাঠে নেমেই ম্যাচের গতিপথ এঁকে নিয়েছিলেন অ্যালিস্টার কুক। এই দিনটি যে বাংলাদেশের না, তা তিনি শুরুতেই বুঝে যান, ‘সত্যি কথা বলতে সকাল থেকেই আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ওদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান; আমাদের দরকার ছিল ২ উইকেট। আমরা সুযোগ তৈরির অপেক্ষায় ছিলাম। শেষ পর্যন্ত সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে ম্যাচটি জিততে পেরেছি। এই মুহূর্তে আমি নির্ভার।’

ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের প্রশংসাও ঝড়ল কুকের কণ্ঠে, ‘আমি সব সময়ই স্টোকসের সঙ্গে কথা বলি। ও যোগ হওয়াতে আমাদের দলে ব্যালেন্স হয়েছে। ও দলে থাকাতে আমার একজন বাড়তি স্পিনার কিংবা পেসার দলে নিতে পারি।’

সোমবার বাংলাদেশের শেষ দুটি আউটই রিভিউয়ের মাধ্যমে আদায় করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। তাইজুলের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ চান কুক। আর তাতেই আঙুল তুলতে বাধ্য হন আম্পায়ার।

ঠিক কি চিন্তা করে রিভিউ চেয়েছিলেন, জানতে চাইলে কুক বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে ওই সময় আমাদের দুটি রিভিউ বাকি ছিল। আামদের প্রয়োজন ছিল দুটি উইকেট, ওদের প্রয়োজন ২০ রান (আসলে ২২ রান)। এই অবস্থায় রিভিউ যে কেউই নিতে চাইবে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। স্টোকস আমাকে বলছিল ইন সুইং দেয়নি। সে (তাইজুল) লাইনেই ছিল। এই আত্মবিশ্বাসেই আমি রিভিউয়ের আবেদন করি।’

/আরআই/কেআর/