উইকেট নিয়ে ভাবছেন না তামিম

Tamim-Iqbal1ইংল্যান্ডের চলতি সফরে এখনও পর্যন্ত একটি ম্যাচেও বাংলাদেশ টসে জেতেনি। শুক্রবার মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এই ম্যাচে টস জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। টস ছাড়াও বাংলাদেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ডিআরএস ও ঢাকার উইকেট। চট্টগ্রামে স্পিন সহায়ক উইকেট থাকায় রীতিমতো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষায় বসতে হয়েছে। আর আগের সব রেকর্ড ভেঙে চট্টগ্রামে ২৬টি রিভিউয়ের ঘটনা ঘটেছে। ১১বার ফিল্ড আম্পায়ারদের তাদের সিদ্ধান্ত বদল করতে হয়েছে। চট্টগ্রামে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর ঢাকাতে চলে এসেছে এই সব আলোচনা।

সহ-অধিনায়ক তামিম অবশ্য সরাসরিই বলে দিলেন উইকেটপ-টস-ডিআরএস নিয়ে তার দলের খেলোয়াড়রা একদমই ভাবছেন না, ‘উইকেট বলেন, টস বলেন, ডিআরএস বলেন, এগুলো সব পরের বিষয়। আমাদের সবার আগে ভালো খেলতে হবে। ভালো খেললেই জেতার সম্ভবনা আসবে। আমাদের ফোকাস কিভাবে নিজেদের খেলার উন্নতি করা যায়, সেদিকেই।’

শেষ ম্যাচটা ২২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামেই ম্যাচটি ভুলে এসেছেন বলে জানালেন তামিম, ‘শেষ ম্যাচ নিয়ে এত আলোচনা না করাই ভালো। অনেক ভালো একটা টেস্ট ম্যাচ হয়েছে। দিন শেষে আমরা ম্যাচটা হেরেছি। রেকর্ডে কখনোই লেখা থাকবে না বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। এখন ওই ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই, আমাদের কাজ হচ্ছে পরের যে ম্যাচ আছে সেখানে ফোকাস করা। উইকেটের কথা ভুলে যাওয়া। আগের ভুলগুলো ঠিক করা।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘টস, এটা্ও আমাদের হাতে নেই। টসে জিতলে আমরা হয়তো বা আগেই ব্যাটিং কিংবা ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। কিন্তু এখানে ভাগ্যে যেটা হবে সেটাই করতে হবে।’

ঢাকা টেস্ট এই সব বাদ দিয়ে সুন্দর পরিকল্পনা ও সেই সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগী হতে যান তামিম, ‘আমাদের যে পরিকল্পনা আছে, সেগুলো মাঠে ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি। তাহলে আমার কাছে মনে হয় ফল আসবে। ওখানেই আমাদের ফোকাস দেওয়া উচিত। দলের খেলোয়াড়রা এটা নিয়েই ভাবছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘প্রতিপক্ষেকে কিভাবে সামলানো যায় সেগুলো নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়। আমরা এই সব নিয়েই ভাবি। উইকেট কেমন হবে কিংবা টস কে জিতবে, এগুলো নিয়ে ভাবি না।’

চট্টগ্রামে টার্নিং উইকেট হওয়াতে ব্যাটসম্যানরা বড় রান পাননি। ঢাকাতে একই ধরনের উইকেট হলে পরিকল্পনা কেমন থাকবে, জানতে চাইলে তামিম বলেছেন, ‘ওখানে ব্যাটিং করা কঠিন ছিল। ৩০ রানের ইনিংস ৬০-৭০ রানের সমান। ওখানে আমরা যদি আরও ২০-৩০ রান বেশি করতে পারতাম, তাহলে আমাদের জন্য টেস্ট ম্যাচটা আরও সহজ হতো। মিরপুরেও যদি এমন হয়, তাহলে আমাদের সবার চেষ্টা করতে হবে কিভাবে ভালো করা যায়। আর যদি কন্ডিশন ব্যাটিং সহায়ক হয়, তাহলে যে সেট হবে, সে বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করবে।’

/আরআই/কেআর/