মানসিকতার পরিবর্তন হোক এই ম্যাচ থেকেই

গাজী আশরাফ হোসেন লিপুএকটা সময় তিন থেকে চার দিনের মাথায় আমাদের অধিকাংশ টেস্ট ম্যাচ একপেশে হয়ে শেষ হয়ে যেত। বোলাররা দুই ইনিংসে বল করার সুযোগ নিয়মিতভাবে পেতো না। বৃষ্টিতে একদিন খেলা পণ্ড হলে আমাদের খেলোয়াড়-দর্শক কেউই আক্ষেপ করতো না।

পর্যায়ক্রমে টেস্ট অঙ্গনে আমরা ধীরে হলেও উন্নতি করছি। দেশের বাইরে টেস্ট খেলার সুযোগ এখনও যথেষ্ট কম। বিশেষকরে নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন এবং পিচের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যতার কারণে আমাদের বোলার ও ব্যাটসম্যানদের অভিজ্ঞতা আরোহনের সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু এই মুহূর্তে আমার খেলার ফলাফলের চেয়ে বৃষ্টির কারণে পুরো দিন পরিত্যক্ত হওয়ায় বেশি কষ্ট অনুভব করছি। ম্যাচের চতুর্থ দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে বৃষ্টি হলে পুরো খেলার চিত্রটাই বদলে যাবে।

হেনরি নিকোলসকে ঘিরে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড লিড নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই ম্যাচে ভালোভাবে লড়াইয়ে থাকার জন্য নিকোলসের সময় রক্ষণাত্মক ও অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের সময় আক্রমণাত্মক ফিল্ডিংয়ের সমন্বয় ঘটিয়ে নিউজিল্যান্ডকে অল্পতেই আটকাতে চাইবে তামিম।

তৃতীয় দিনের বৃষ্টি ও পিচ ঢেকে থাকায় চতুর্থ দিনের পেস আক্রমণের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের রান সংগ্রহের পাশাপাশি উইকেটে টিকে থাকার জন্য নিজেদের মেজাজ ও দক্ষতার যথার্থ প্রয়োগ দেখাতে হবে। কি হবে বাংলাদেশ দলের অ্যাপ্রোচ-ম্যাচ ড্র করা নাকি সিরিজে সমতা আনার চেষ্টা করা?

এ যাবৎ ১৭টি উইকেট পড়েছে, বলা যায় তিনটি ভালো পার্টনারশিপ হয়েছে। ওয়েলিংটনে বাউন্স থাকলেও সাইড মুভমেন্টের কারণে বলই নিয়ন্ত্রণ করেছে ব্যাটকে। টম ল্যাথামের মতো চমৎকার ধৈর্য্যশীল ব্যাটসম্যানও যখন বাইরের বলে শর্টস খেলার চেষ্টা করেছেন, তাকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয়েছে।

তারপরও চাইবো যত দ্রুত সম্ভব নিউজিল্যান্ডকে অলআউট করে একটা ইতিবাচক অ্যাপ্রোচ নিয়ে আমাদের ব্যাটসম্যানরা উইকেটে টিকে থেকে দিনটাকে ভালোভাবে পার করবে। আর শেষ দিনে সম্ভব হলে একটা শক্তিশালী টার্গেট দিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ জেতার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার মতো অবস্থা তৈরি করবে। এই প্রাণবন্ত উইকেটে বোলারদের একটা লড়াই করার মতো সুযোগ সৃষ্টি করা। ম্যাচ জেতার লড়াই করে হেরে যেতেই পারি, তবে জেতার আকাঙ্খার জন্য ১১ জন একসঙ্গে লড়াই করছে। তার প্রয়াস যদি এই টেস্টে দেখতে পাই, তা হবে সবচেয়ে বড় পাওয়া এই সিরিজে। তার জন্য বাকি সময়টুকুতে মানসিকতা ও অ্যপ্রোচের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন জরুরি।

/আরআই/কেআর/