বদলে যাওয়ার রেসিপি জানালেন তামিম-মুশফিক

বদলে যাওয়ার রেসিপি জানালেন তামিম-মুশফিককলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিন থেকেই বদলে গেল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কী এমন হয়েছিল দ্বিতীয় রাতে? রহস্য তেমন কিছুই নয়। টিম ম্যানেজমেন্ট ছাড়া খেলোয়াড়দের আলাদা মিটিংই বদলে দিল সাকিবকে, বদলে দিল বাংলাদেশের চেহারা। যাতে উপকৃত বাংলাদেশ পেল শততম টেস্ট জয়ের স্বাদ।

কলম্বোতে শততম টেস্ট শুরুর আগে মানসিক ভাবে ভালো অবস্থায় ছিল না বাংলাদেশ। কেননা গলে ২৫৯ রানে হারের পর কলম্বোতে ভালো কিছু করা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এরপর রিয়াদের বাদ পড়া নিয়ে ছিল নানা ধরনের আলোচনা। সবকিছু মিলিয়ে টিম বাংলাদেশের খেলায় প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছিল।

প্রথম দিনে বোলাররা দারুণ চেষ্টা করে লঙ্কাকে ৩৩৮ রানে বেঁধে ফেলে। বাংলাদেশ লক্ষ্যের বিপরীতে খেলতে নেমে শেষ বিকালে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেয়। টাইগারদের ওমন ব্যাটিং দেখে গলের পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। ওইদিন বিকালে সাকিব নানা ভাবে আউট হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন!

যদিও তৃতীয় দিনের শুরুতে নেমেই বদলে যান সাকিব; বদলে যায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত শততম টেস্টে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে অনন্য একটি মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। কী এমন রেসিপি ছিল জানতে চাইলে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ওপেনার তামিম ইকবাল, ‘আমরা নিজেরা মিলে পরিকল্পনা করেছি ম্যাচের আগের দিন সবাই মিলে মিটিং করবো। যেখানে কোচ, ম্যানেজার কেউই থাকবেন না। সবাই মিলে নিজেদের ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। কীভাবে পরের দিনটা ভালো করা যায়, সেগুলো নিয়ে কথা বলেছি। এতেই সবার মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয় ফল পেতে এটা কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে।’

তামিমের পরে মুশফিকের কাছে একই বিষয়য়ে জানতে চাওয়া হলে, মুশফিক বললেন লঙ্কা বধের গল্প, ‘প্রথম টেস্টে হারার পর আমাদের মনে হয়েছে, আমরা এত বাজেভাবে হারার দল নয়। আমরা একসঙ্গে, মৌলিক ব্যাপারগুলো একজন আরেকজনকে শেয়ার করেছিলাম। আমরা যেন মাঠে সব পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারি, সেই চেষ্টা করেছিলাম।’

/আরআই/এফআইআর/