বিশাল ছক্কার পর সৌম্যর বিদায়, সাব্বিরের ৭২

17474097_1669142150053652_2037477051_o৩৫৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে বাংলাদেশ ২৫ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করেছে। সাব্বির সর্বোচ্চ ৭২ রান করেছেন। এছাড়া বিধ্বংসী ব্যাটিং করা সৌম্য আউট হয়েছেন ৪৭ রানে।

আকিল ধনাঞ্জয়ার শর্ট বলটি ক্ষিপ্র গতিতে স্টেডিয়াম ছাড়া করছিলেন সৌম্য। ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে খেলা শটটি সৌম্যর ফর্মে ফেরাটা মনে করিয়ে দিচ্ছে। এই সৌম্যকে গেলো এক বছর ধরে খুঁজে পায় যায়নি। সৌম্য কেনও দলে কিংবা সৌম্যকে আরও সুযোগ দিতে হবে-এমন বক্তব্য নিয়ে গ্রুপিংও চলেছে নানা ভাবে।

তবে ভাগ্যবান সৌম্য শেষ মুহূর্তে টেস্ট সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজে রানে ফেরার ইঙ্গিত রাখলেন। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর আরও চারটি ইনিংস খেলেছেন। যেখানে তার সর্বোচ্চ রান ২০।

বুধবার প্রস্তুতি ম্যাচে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হলেও পুরো সময়টাতেই চোখে মুখে ছিল আত্মবিশ্বাসের ছাপ। লং অনে ক্যাচ দিয়ে বিদায়ের আগে ৪৩ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় সৌম্য তার ইনিংসটিকে সাজান।

ইনিংসের প্রথম বলেই ইমরুল ফিরে যান সাজঘরে। আর তাতেই শূন্য থেকে শুরু করতে হয় সৌম্য-সাব্বিরকে। দুইজন মিলে ৯৩ বলে দলীয় স্কোরকে ১০০ রানে নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ১১৬ রানে গিয়ে জুটি ভাঙে সৌম্য-সাব্বিরের।

সৌম্যর বিদায়ের কিছুক্ষণ পরেই বিদায় নেন সাব্বির রহমান। পুরো সময়টাতে তিনি লঙ্কান বোর্ড একাদশের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন। ৪৫ বলে আনঅফিসিয়াল এই ম্যাচটিতে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তিনি ৮ চার ও ১ ছক্কার সাহায্যে। ইনিংসটাকে আরও বড় করতে পারতেন সাব্বির। কিন্তু ঢাকা লিগে মোহামেডানের হয়ে খেলা চাতুরাঙ্গা ডি সিলভার বলে থিসারা পেরেরাকে লং অনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিয়েছেন সাব্বির। ফতুল্লায় পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করা সাব্বিরকে মনে হচ্ছিল আজও বোধ হয় সেঞ্চুরিটা পেয়ে যাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রস্তুতি ম্যাচটিতে ৭২ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যানকে।

সাব্বিরের পর মুশফিক ফিরে গেলেও ক্রিজে নামেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন।

বাংলাদেশ ৩৫৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৫ ওভার শেষে ১৫৫ রান সংগ্রহ করেছে চার উইকেট হারিয়ে। দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেছেন সাব্বির। এছাড়া সৌম্য ৪৭, মুশফিক ২০, ইমরুল ০ রানে আউট হয়েছেন।

 

/আরআই/এফআইআর/