বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট অস্ট্রেলিয়া

bcb-acb-logo-600x330চার স্তরের নিরাপত্তা দেওয়ার পরই বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়াকে তেমন নিরাপত্তারই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত অক্টোবরে ইংল্যান্ড এসেছিল বাংলাদেশ সফরে। ঠিক সেই সময় অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা পরামর্শক শন ক্যারল বাংলাদেশের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। দেশে ফিরে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডকে (সিএ) দেওয়া তার রিপোর্টটি ছিল ইতিবাচক। ক্যারলের রিপোর্টের ওপর আস্থা রেখেই আগামী আগস্টে দুটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসছেন স্টিভ স্মিথ ও তার সতীর্থরা।
রবিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘প্রত্যেক সিরিজের আগে অতিথি দলের ক্রিকেট বোর্ডে নিরাপত্তা পরিকল্পনা পাঠাতে হয়। ইংল্যান্ড দল যখন বাংলাদেশ সফর করেছিল, তখন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা পরামর্শক শন ক্যারল বাংলাদেশে এসে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিনে দেখেছিলেন। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আস্থা আছে বলেই দুবাইয়ে আইসিসির সভা শেষে অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড প্রধান বাংলাদেশ সফরে আসার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন।’
গত শুক্রবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, ঈদুল আযহার আগে প্রথম টেস্ট এবং ঈদের পর দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হবে। বিসিবির প্রধান নির্বাহীও একই কথা জানালেন, ‘ফিউচার ট্যুর প্ল্যান অনুযায়ী দুটি টেস্ট খেলতে আগস্টের মাঝামাঝি আসবে অস্ট্রেলিয়া। ঈদুল আযহার আগে একটা ও পরে অন্য টেস্ট হবে। পাশাপাশি ওদের জন্য প্রস্তুতি ম্যাচও থাকবে। তবে দুই বোর্ড যখন নিশ্চিত করে, তখনই কেবল পূর্ণাঙ্গ সূচি জানানো হয়। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ক্ষেত্রে দুই বোর্ডের সম্মতিতেই সূচি প্রকাশ করা হয়। আমাদের একটা প্রস্তাবিত শিডিউল আছে, যেটা এ মুহূর্তে প্রকাশ করা ঠিক হবে না।’

অস্ট্রেলিয়ার সফরটি হওয়ার কথা ছিল ২০১৫ সালে। কিন্তু সে সময় নিরাপত্তা না পাওয়ার আশঙ্কায় সফর বাতিল করেছিল তারা। এমনকি গত বছর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও অংশ নেয় নি অস্ট্রেলিয়া। তবে ইংল্যান্ডকে দেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা আশ্বস্ত করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে। অস্ট্রেলিয়া এর আগে একবারই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছিল। ২০০৬ সালে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডের সব ম্যাচই জিতেছিল রিকি পন্টিংয়ের দল।


/আরআই/এএআর/