রানবন্যার ম্যাচে শেখ জামালের অবিশ্বাস্য জয়

ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলা সানিকে কাঁধে করে মাঠের বাইরে নিয়ে গেলেন সতীর্থরাবিকেএসপিতে অবিশ্বাস্য এক জয় পেয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। রবিবার মোহামেডানের রানের পাহাড় চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে পাড়ি দিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। মোহামেডানের দেওয়া ৩৪০ রানের লক্ষ্য ২ বল বাকি থাকতে জিতে নেয় তারা ৯ উইকেট হারিয়ে।

রবিবার বিকেএসপিতে আগে ব্যাট করেছে মোহামেডান। শুরু থেকে ব্যাটিংয়ে দাপট দেখায় তারা। ৭৬ রানে প্রথম উইকেট হারালে শামসুর রহমান ও রনি তালুকদারের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৩৩৯ রান করে তারা। শামসুর ১৫২ বলে ৭ চার ও ৭ ছক্কায় তার ১৪৪ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। পুরো মৌসুমে খারাপ সময় কাটানো রনি প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে এসে রানের দেখা পেলেন। ৯৯ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় তিনি ১১০ রান করেন। তাদের জুটিটি ১৭৩ রানের। কিন্তু ম্যাচ শেষে তাদের পারফরম্যান্স ঢেকে গেল শেখ জামালের ব্যাটসম্যানদের নৈপুণ্যে।

শেখ জামালের বোলারদের মধ্যে ইলিয়াস সানি ও আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।

৩৪০ রানের কঠিন লক্ষ্যের বিপরীতে খেলতে গিয়ে শুরু থেকেই সাবলীল ছিলেন শেখ জামালের ব্যাটসম্যানরা। প্রশান্ত চোপড়া, সোহাগ গাজী ও তানবীর হায়দারের ফিফটি সহজ করে দেয় তাদের কাজ। গাজী ইনিংস সেরা ৮৯ রান করেন মাত্র ৬৪ বল খেলে। ৮ চার ও ৩ ছয় তার ইনিংসে। মারকুটে ছিলেন প্রশান্ত, ১০ চার ও ৫ ছয়ে ৬০ বলে ৮৬ রান করেন তিনি। তানভীর হায়দারের ৭৭ রান ছিল ৭২ বলে।

তাদের দেখানো পথ শেষদিকে গিয়ে বন্ধুর হয়ে যায়। মোহাম্মদ আজিমের পেসে ৪৭.৫ ওভারে তারা ৯ উইকেট হারায় ৩২৭ রানে। জয়ের জন্য তখনও বাকি ১৩ রান। ইলিয়াস সানি ও শাহাদাত হোসেন দেখেশুনে খেলেছেন বলেই জয় শেষ পর্যন্ত ধরা দিয়েছে শেখ জামালকে। সানি ৩৯ ও শাহাদাত ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৪৯.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৪৩ রান করে জামাল।

মোহামেডানের বোলারদের মধ্যে আজিম ৭০ রানে চারটি উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার। এছাড়া তাইজুল ইসলাম ও এনামুল হক জুনিয়র নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

অবশ্য ম্যাচসেরা বাছাই করা হয়েছে মোহামেডানের থেকে- শামসুর রহমান।

/আরআই/এফএইচএম/