আফগান টি-টোয়েন্টি লিগে তামিম-ইমরুল-সাব্বির!

tamim-1স্পাগিজা ক্রিকেট লিগের শুরুটা ২০১৪ সালে। মাঝে তিন আসর শেষ হয়ে গেলেও আফগানিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগের নামটা খুব বেশি জানার কথা নয় কারও। কারণ ক্রিকেট বিশ্বের বড় কোনও নামের খেলোয়াড় ছিলেন না যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির টুর্নামেন্টে। তবে সামনের আসরে পাল্টে যেতে পারে হিসেব। বিশ্বের অন্য সব দেশে কেমন প্রভাব ফেলবে, সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে নিশ্চিতভাবে ছাপ ফেলবে আফগান টি-টোয়েন্টি লি্গ। জাতীয় দলের তিন খেলোয়াড়ের নাম যে যোগ হয়েছে এই প্রতিযোগিতায়! তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস ও সাব্বির রহমান মোটা অঙ্কের টাকায় নাম লিখিয়েছেন কুড়ি ওভারের এই আসরে।

আগামী ১৮ জুলাই থেকে শুরু হবে আফগান টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসর। ২৮ জুলাই শেষ হওয়া এই প্রতিযোগিতায় মোটা অঙ্কে বিক্রি হয়েছেন তামিম। বাংলাদেশি ওপেনারকে ২১ লাখ আফগানি (বাংলাদেশি ২৫ লাখ টাকা) দিয়ে দলে ভিড়িয়েছে মুসলিমিয়ার স্পিনিগার টাইগারস। সাব্বির ও ইমরুল বিক্রি হয়েছেন সমান ৭ লাখ আফগানিতে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮ লাখেরও বেশি। সাব্বিরকে দলে ভিড়িয়েছে কাবুল ঈগলস, আর ইমরুলকে কিনেছে বুস্ট ডিফেন্ডারস।

নিরাপত্তার কারণে দেশে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে পারে না আফগানিস্তান।  তাদের ‘ঘরের মাঠ’ ভারতের নয়ডা। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ অবশ্য দেশেই আয়োজন করে তারা। সামনের আসরটাও হওয়ার কথা কাবুল স্টেডিয়ামে। নিরাপত্তার ঝুঁকি যেভাবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে, সেখানে খেলতে যাওয়া বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জন্য কতটা যৌক্তিক, সেই প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়।

যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অপারেশনস কমিটির প্রধান আকরাম খান জানিয়েছেন অন্য কথা। স্পাগিজা ক্রিকেট লিগে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটারের নাম নিলামে থাকলেও বিষয়টা সম্পর্কে জানেনই না তিনি, ‘এখন পর্যন্ত আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এখনও আমাদের সঙ্গে এ নিয়ে কোনও আলোচনা করেনি।’

শুধু বাংলাদেশ নয়; পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররাও ছিলেন নিলামে। পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা হলেন- উমর আকমল, সোহেল তানভীর, কামরান আকমল, রুম্মান রইস, সোহেল খান, মোহাম্মদ নওয়াজ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের একজন- রায়াড এমরিট। আর জিম্বাবুয়ের থেকে ছিলেন সিকান্দার রাজা, সলোমন মির, শন উইলিয়ামস ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।

/কেআর/এএআর/