ভারতকে তুষ্ট করতে বাকিদের লভ্যাংশ কমিয়ে দিল আইসিসি

246403.3

লভ্যাংশ ভাগাভাগি নিয়ে অবশেষে সমঝোতায় পৌঁছালো আইসিসি ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বা বিসিসিআই। লন্ডনে বার্ষিক সভায় আইসিসির দেওয়া নতুন মডেল বিসিসিআই মেনে নিয়েছে। তবে এখানেও বিসিসিআইকে তুষ্ট করেই মডেল পাস করতে হয়েছে। প্রস্তাবিত মডেলের তুলনায় ১০০ মিলিয়ন ডলার বেশি পাবে বিসিসিআই। বৃহস্পতিবারই আইসিসির বার্ষিক সভায় রাজস্ব ভাগের নতুন মডেলের অনুমোদন দেওয়া হয়। ফলে নতুন করে বিসিসিআই পাবে ৪০৫ মিলিয়ন ডলার। যা আগের মডেলের চেয়ে ১১২ মিলিয়ন বেশি!  তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দাবি ছিল ৫৭০ মিলিয়ন।

এক্ষেত্রে বিসিসিআইকে বেশি দেওয়াতে লভ্যাংশের পাল্লা কমে গেছে বাকি সদস্য দেশগুলোর। ৮ দেশের ক্ষেত্রে যার পরিমাণ ৩২ মিলিয়ন। সহযোগীদের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ৪০ মিলিয়ন ডলার কমে গেছে।

মডেল অনুযায়ী, আগামী ২০১৬-২০২৩ চক্রে আইসিসির আয় ধরা হয়েছে ২.৭ বিলিয়ন ডলার। সব খরচ বাদ দিয়ে আইসিসির লাভ থাকে ১.৭৭৬ বিলিয়ন ডলার। এ থেকেই আইসিসির পূর্ণাঙ্গ সদস্যগুলো পাবে ১.৫৩৬ বিলিয়ন ডলার আর সহযোগীরা পাবে ২৪০ মিলিয়ন ডলার। এখান থেকেই ভারত ৪০৫ মিলিয়ন ও ইসিবি ১৩৯ মিলিয়ন ডলার পাবে। আর অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ পাবে ১২৮ মিলিয়ন করে। যেখানে ৪ মিলিয়ন করে কমে গেছে প্রত্যেক বোর্ডেরই। অবশ্য জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রে আগের মডেলে যা দেওয়া হয়েছিল সেই ৯৪ মিলিয়ন ডলারের কোনও পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ তারা আগের লভ্যাংশই পাবে।

এখানে উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, লভ্যাংশ ভাগাভাগির মডেলটির সঙ্গে নতুন গঠনতন্ত্রের কোনও সম্পর্কই রাখেনি আইসিসি। কারণ রাজস্ব ভাগাভাগির বিষয়টি আলাদাভাবে চূড়ান্ত করতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডই চাপ দিয়ে আসছিল আইসিসিকে। শুক্রবারই নতুন গঠনতন্ত্র নিয়ে ভোটাভুটিতে বসবে আইসিসি। ক্রিকইনফো।

/এফআইআর/