বুমরাহর ‘নো’ বল দিয়ে ট্রাফিক পুলিশের সাবধানতা!

জয়পুর ট্রাফিক পুলিশের সেই প্রচারণাভারতের ক্রিকেট সমর্থকরা এখনও হয়তো দীর্ঘশ্বাস ফেলে মনে মনে ভাবছে, “ইশ্, সেদিন বলটা যদি ‘নো’ না হতো!” চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে জশপ্রীত বুমরাহর পা লাইন পেরিয়ে না গেলে ফখর জামান বিদায় নিতেন শুরুতেই। তখন অসাধারণ সেঞ্চুরির দেখাও পেতেন না এই ওপেনার, পাকিস্তানের রানও হয়তো যেত না ৩৩৮ পর্যন্ত। গোটা ভারতের চোখে ‘খলনায়ক’ হয়ে যাওয়া বুমরাহর ওই ‘নো’ বলকেই এখন বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবহার করছে জয়পুর ট্রাফিক পুলিশ। লাইন পেরিয়ে গেলে কতটা মূল্য দিতে হয়, সেটারই প্রচারণা চালাচ্ছে তারা বুমরাহর ‘নো’ বলের ছবি ও সড়ক দুর্ঘটনার চিত্রকে একসঙ্গে মিলিয়ে।

একটি ভুলে কতটা চড়া মূল্য দিতে হয়, ভারতের ক্রিকেট-ভক্তরা তা জেনে গেছে খুব ভালো ভাবে। ক্রিকেট পাগল জাতিকে আইন ঠিকমতো বোঝাতে জয়পুর ট্রাফিক পুলিশ তাই বুমরাহর ‘নো’ বলকে ব্যবহার করছে বিজ্ঞাপন হিসেবে।

রাস্তার পাশে বিলবোর্ড নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে জয়পুর ট্রাফিক পুলিশ একটি ছবি পোস্ট করেছে। যে ছবির এক পাশে বুমরাহর লাইন পেরিয়ে যাওয়া বোলিং দেখানো হয়েছে, অন্য পাশে জেব্রা ক্রসিংয়ে দাঁড়ানো গাড়ি। ক্যাপশনে লেখা, ‘লাইন পেরিয়ে যাবেন না, জানেন তো লাইন পেরিয়ে যাওয়ার মূল্য কতটা।’

ছবি ও ক্যাপশনের মাধ্যমে জয়পুর ট্রাফিক পুলিশ বোঝাচ্ছে, বুমরাহ লাইন পেরিয়ে বল করায় চড়া মূল্য দিতে হয়েছে ভারতকে, তেমনি ট্রাফিক আইন মেনে না চললে রাস্তায় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। ক্রিকেট মাঠের মতো নিজের জীবনেও দিতে হতে পারে চড়া মূল্য। শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নয়, গোটা শহরে বিলবোর্ডের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই ছবি ও বার্তা। তরুণ সমাজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ওই ‘নো’ বল থেকে রাস্তায় চলাচলের শিক্ষা নেবে বলেই বিশ্বাস জয়পুর ট্রাফিক পুলিশের।

বুমরাহর টুইটসাধারণ জনগণকে সচেতন করতে অভিনব এই বিজ্ঞাপন কি আর পছন্দ হবে বুমরাহর? এমনিতেই ফাইনালের পর পড়েছেন কঠিন সমালোচনার মুখে, এরপর আবার এমন প্রচারণা। তরুণ এই পেসার তাই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে। লিখেছেন, ‘সাবাস, জয়পুর ট্রাফিক পুলিশ। এর মাধ্যমে দেখিয়ে দিলেন আপনারা কতটা সম্মান দিতে পারেন একজন খেলোয়াড়কে, যে তার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করে দেশের জন্য।’ টাইমস অব ইন্ডিয়া

/কেআর/এএআর/