আত্মবিশ্বাসে দুই দলই সমানতালে এগিয়ে। কারণ সেমিফাইনালে দারুণ জয়ের স্মৃতি তাদের সঙ্গী। শেষ চারের লড়াইয়ে প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। আর হারমানপ্রীত কৌরেরর ১৭১ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংসে গতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া পাত্তাই পায়নি ভারতের কাছে। ৩৬ রানের জয়ে ২০০৫ সালের পর প্রথমবার ফাইনালে ওঠে দক্ষিণ এশিয়ার দলটি।
অবশ্য শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে অন্য কারণে বেশ এগিয়ে থাকছে ভারত। কারণ তাদের এবারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ইংল্যান্ডকে ৩৫ রানে হারিয়ে। ওই একটি হারের পর কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্বাগতিকরা। ১৯৭৩, ১৯৯৩ ও ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা ৬ ম্যাচ জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় ফাইনালেও। অধিনায়ক হিদার নাইট বিশ্বাস করেন, তার দলের আরও কিছু দেওয়ার আছে।
ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে এসে আরেকটি ফাইনালের আগে রোমাঞ্চিত মিতালি। ভারতের অধিনায়কের বিশ্বাস, ২০০৫ সালের আক্ষেপ এবার কাটাতে পারবেন তিনি। বিশ্বকাপ শিরোপায় চুমু খেয়ে বিদায়ের প্রত্যাশা তার। মিতালি বলেছেন, ‘আমার ও ঝুলনের (গোস্বামী) জন্য এটা খুব বিশেষ। কারণ ২০০৫ সালের কেবল আমরা দুজন এখনও দলে আছি এবং মনে হচ্ছে যেন আবার সেই ২০০৫ সালে ফিরে যাচ্ছি।’
প্রতিপক্ষ নিজেদের ঘরের মাঠে খেলছে, এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন ৩৪ বছর বয়সী অধিনায়ক। তবে দলের উৎসাহ-উদ্দীপনা তার বিশ্বাসকে করছে আরও দৃঢ়, ‘বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত। এ প্রতিযোগিতা যে সহজ হবে না সেটা জানতাম। কিন্তু মেয়েরা দলের প্রয়োজনে প্রত্যেক পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছে। ইংল্যান্ড সহজ প্রতিপক্ষ নয়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর আমি নিশ্চিত মেয়েরা প্রতিপক্ষের ঘরের মাঠে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত।’ ক্রিকইনফো, বিবিসি, এনডিটিভি
/এফএইচএম/