‘রংপুর গেইল-ম্যাককালাম নির্ভর দল নয়’

গেইলরংপুর রাইডার্স-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের শনিবারের ম্যাচের দিকে নজরটা একটু বেশিই। তা হওয়ারই কথা, মাঠে নামতে যাচ্ছেন যে ক্রিস গেইল-ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। রংপুরের জার্সিতে তাদের ব্যাটিং তাণ্ডব দেখার অপেক্ষায় বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমিরা। রংপুরও জয়ের পথে ফিরতে চায় এই দুই ব্যাটসম্যানের ওপর ভর দিয়ে। যদিও গেইল তেমনটা মনে করেন না। নিজেদের ওপর চাপ কমাতেই কিনা তিনি শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে গেলেন, রংপুর গেইল-ম্যাককালাম নির্ভর দল নয়।

জয় দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসর শুরু করেছিল রংপুর। রাজশাহী কিংসকে হারালেও পরের দুই ম্যাচে পেয়েছে হারের তিক্ততা। শনিবার কুমিল্লার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চায় তারা। যেখানে তাদের আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে দুই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান গেইল-ম্যাককালামের যোগ দেওয়া। ওপেনিংয়ে তাদের দিয়ে ভালো শুরুর প্রত্যাশা ফ্র্যাঞ্চাইজিটির। ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানও মুখিয়ে আছেন ম্যাককালামের সঙ্গে ওপেনিংয়ে জুটি বাঁধার, ‘আমরা সবাই জানি ব্রেন্ডন ম্যাককালাম কতটা বিধ্বংসী। ওর সঙ্গে আবার ব্যাটিং ওপেন করাটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। আইপিএলের পর আমরা আবার একসঙ্গে ওপেন করব।’

সেই ২০০৯ সালে শেষবার একসঙ্গে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ হয়েছিল তাদের। দীর্ঘ সময় পর আবার একসঙ্গে খেলতে নামছেন গেইল-ম্যাককালাম। সেটা যেমন একটা চ্যালেঞ্জ, সঙ্গে সমর্থকদের প্রত্যাশাটাও তাদের জন্য কিছুটা চাপের। যদিও সব চ্যালেঞ্জ উতরে নিজেদের সেরাটা দিয়ে জয়ের লক্ষ্যই ক্যারিবিয়ান তারকার, ‘একসঙ্গে খেলা শুরু করা ও ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলাটার ব্যাপারটা আমাদের জন্য নতুন, যদিও আমরা অভিজ্ঞ। আমাদের কাছে প্রত্যাশাটা অনেক বেশি। তবে আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে আগামীকালের (শনিবার) ম্যাচ জেতার চেষ্টার করব।’

দল নিয়ে সন্তুষ্ট গেইল। ম্যাককালাম ও তাকে নিয়ে উন্মাদনা বেশি হলেও স্কোয়াডের বাকি খেলোয়াড়রাও ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখেন বলে মনে করেন তিনি। নিজেদের ওপর চাপ কমাতেই কিনা বললেন, ‘মাশরাফির নেতৃত্বে দলটা খুব অভিজ্ঞ। বোলিং আক্রমণও ভালো। দলের অবস্থা এমন নয় যে, নির্দিষ্ট কারও ওপর নির্ভর করতে হবে আমাদের। দলে অনেক ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড় আছে। তাই আমরা গেইল ও ম্যাককালামের ওপর নির্ভর করে সফল হবো- বিষয়টা এমন নয়।’

টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি ১০,৫৭১ রান গেইলের। ১১ হাজার রান বিপিএলেই হয়ে যাবে কিনা, এমন প্রশ্নে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের জবাব, ‘জানি না ১১ হাজার রান হতে আর কত লাগবে। অবশ্য এখনও ৯ ম্যাচ আছে এখানে। জানি এই কন্ডিশন কতটা কঠিন, আমি সেই চ্যালেঞ্জটা নিতে মুখিয়ে আছি।’