‘জীবনে কত কিছুই তো হয়’

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন সাকিব। ছবি-বিসিবিবাংলাদেশের ক্রিকেটের মহাতারকা সাকিব আল হাসান ২০০৯ সালে প্রথম নেতৃত্ব পেয়েছিলেন জাতীয় দলের। সে বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা ইনজুরিতে পড়লে তার কাঁধে পড়ে নেতৃত্বভার। কিন্তু ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে দলীয় ব্যর্থতা আর শৃঙ্খলা ভঙ্গের জের ধরে অধিনায়কত্ব হারান তিনি। এরপর অনেকদিন বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে দেখা যায়নি তাকে। এ বছর মাশরাফির অবসরের পর পেয়েছেন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব। দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যর্থতার জের ধরে তিনি এখন টেস্ট দলেরও অধিনায়ক। রবিবারের সভায় টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকে নির্বাচিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

আপাতত অবশ্য জাতীয় দল নয়, বিপিএল নিয়ে ব্যস্ত সাকিব। মঙ্গলবার বিপিএলের ফাইনালে খেলবে তার দল ঢাকা ডায়নামাইটস। সোমবার মিরপুর ক্রিকেট একাডেমি মাঠে ঢাকার অনুশীলনের আগে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। টেস্ট ক্রিকেটে গত কিছুদিন আমরা ভালোই করেছি। শ্রীলঙ্কার মাটিতে জিতেছি, ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডকে হারিয়েছি। টেস্টে আরও ভালো করার চেষ্টা করতে হবে।’

মুশফিকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দারুণ সাফল্য পেয়েছে টেস্ট ক্রিকেটে। সাকিবের সামনে তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় দফা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তার প্রথম ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ। দলে পরিবর্তন আসবে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘বলা মুশকিল কতটা পরিবর্তন আসবে। তবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট জিতে শুরু হয়েছিল তার অধিনায়কত্ব।  কিন্তু ৯ টেস্টের বাকি ৮টি ম্যাচই হেরেছেন অধিনায়ক সাকিব। ‘এবার ভালো করতে পারবেন তো?’ এমন প্রশ্নে তার দার্শনিকসুলভ জবাব, ‘আগে কী হয়েছিল আমার মনেই নেই। আসলে জীবনে কত কিছুই তো হয়!’

নতুন দায়িত্ব কতটা উপভোগ করবেন প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘উপভোগের চেয়ে আমি এটাকে দায়িত্ব হিসেবে দেখতে চাই। অবশ্যই ভালোভাবে এবং সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করবো।’ তবে এই মুহূর্তে জাতীয় দল নয়, বিপিএল নিয়ে ভাবছেন সাকিব, ‘আপাতত বিপিএল নিয়ে আমি ব্যস্ত। বিপিএল শেষে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হলে বোঝা যাবে আমাদের সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।’