তিন ফিফটিতে বাংলাদেশের ৩২০

তামিম-সাকিবের জুটি গড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের ভিতশ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের পর মুশফিকুর রহিমের ব্যাটেও এসেছে হাফসেঞ্চুরি। তিন ফিফটিতে বাংলাদেশ করেছে ৭ উইকেটে ৩২০ রান।

মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ভালো শুরু করেছিল স্বাগতিকরা। প্রথম ওভারেই জীবন পাওয়া এনামুল হক ৭১ রানের জুটি গড়েন তামিমের সঙ্গে। ইনিংসের তৃতীয় বলে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো কুশল মেন্ডিসের হাত ফসকে গেলে শূন্য রানে জীবন পান এনামুল। এরপর বেশ সতর্ক হয়ে খেলেছেন বাংলাদেশি ওপেনার। তবে ১৫তম ওভারে থিসারা পেরেরার পঞ্চম বলে নিরোশান ডিকবিলাকে ক্যাচ দেন এনামুল। ৩৭ বলে তিন চার ও এক ছয়ে ৩৫ রান করেন তিনি। তারপরই ছিল তামিম-সাকিবের ৯৯ রানের শক্ত জুটি।

তবে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে আক্ষেপে পুড়েছেন তামিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত থেকেও সেঞ্চুরি করতে পারেননি নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষ হওয়ায়। শুক্রবার সিরিজের টানা দ্বিতীয় ম্যাচেও তামিম মাঠ ছাড়লেন তার নামের পাশে ৮৪ রান নিয়ে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকলেও শ্রীলঙ্কা তাকে আউট করলো আবারও ১৬ রানের আক্ষেপে রেখে। এর আগে ৭২ বলে ৫টি চারে ক্যারিয়ারের ৪০তম ফিফটি পান তিনি।

হাফসেঞ্চুরি করে আরও বেশি মারকুটে হয়েছিলেন তামিম। আরও দুটি করে চার ও ছয়ে রানের গতি বাড়ান তিনি। কিন্তু ৩০তম ওভারে আকিলা ধনঞ্জয়ার প্রথম বলে তার বিরুদ্ধে স্টাম্পিংয়ের আপিল করে শ্রীলঙ্কা। আম্পায়ার ‘না’ করে দিলে রিভিউয়ের আবেদন জানান উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকবিলা। রিভিউতে স্টাম্পিং না হলেও দেখা গেছে বল ব্যাট ছুঁয়ে ধরা পড়েছে তার গ্লাভসে। তামিম ১০২ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৮৪ রানে আউট হন।

ফিফটি পেয়েছেন মুশফিকওবাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট হারানোর কিছুক্ষণ পর সাকিব ৫০ বলে ৫০ রান করেন ৫টি চারে। এটি ছিল তার ৩৬তম হাফসেঞ্চুরি। মুশফিকের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়ে ফিরতে হয় তাকে। দলীয় স্কোর ২৪৩ এ রেখে মাঠ ছাড়েন সাকিব। ৬৩ বলে ৭ চারে ৬৭ রান করে আসেলা গুনারত্নেকে ফিরতি ক্যাচ দেন এ বাঁহাতি অলরাউন্ডার।

এরপর মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ক্রিজে থেকে হাফসেঞ্চুরির দেখা পান মুশফিক। ৫০ রানের এই জুটি ভাঙে মাহমুদউল্লাহ ২৩ বলে ২৪ রানে আউট হলে। নুয়ান প্রদীপ তাকে থিসারা পেরেরার ক্যাচ বানান। ৪২ বলে ২৮তম হাফসেঞ্চুরি করা মুশফিক পরের ওভারে থিসারা পেরেরার কাছে বোল্ড হন। ৫২ বলে ৬২ রান করেন তিনি চারটি চার ও এক ছয়ে।

পরের দুই ওভারে আরও দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাশরাফি মুর্তজা ৬ রানে আউট হন প্রদীপের বলে। নাসির হোসেন প্রথম বলেই এলবিডাব্লিউ হন পেরেরার কাছে। শেষ ওভারে সাব্বির রহমান দুটি চার ও এক ছয়ে রানের গতি বাড়ান। ১২ বলে দুই চার ও এক ছয়ে ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন টিকে ছিলেন ৬ রানে।

পেরেরা তিনটি উইকেট নেন। দুটি পেয়েছেন প্রদীপ।