এত কম সেঞ্চুরিতে তামিমের আফসোস!

অনুশীলনে তামিম (ছবি: বিসিবি)গত তিন বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে রান করা তামিম ইকবালের কণ্ঠে কম সেঞ্চুরির আক্ষেপ! ১১ বছরের ক্যারিয়ারে ১৭৬ ওয়ানডে খেলে সেঞ্চুরি মাত্র ৯টি! হাফসেঞ্চুরি তার ৪০টি। বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটসম্যান এমন পরিসংখ্যানে হতাশ। আরও বেশি সেঞ্চুরি হওয়া উচিত ছিল মনে করেন তিনি।

ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরির সংখ্যাটা ১১তে নিতে পারতেন তামিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেছিলেন অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কা তাকে আউট করলো সেই ৮৪ রানেই। তাই সংবাদ সম্মেলনে এসে সেঞ্চুরি না হওয়ার ব্যাপারে শুনতে হলো প্রশ্ন। ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির সংখ্যা কবে দুই অঙ্কের ঘরের যাবে, ২০১৭ সালে ওভালে সর্বশেষ সেঞ্চুরি পাওয়া তামিম বললেন, ‘আমার নিজের কাছে খারাপ লাগে। আমার আরও অনেক সেঞ্চুরি করা উচিত ছিল। খুব তাড়াতাড়ি সেঞ্চুরির সংখ্যা দুই অঙ্কে নিয়ে যাবো, সেটা দেখতে ও শুনতে ভালোই লাগবে। আপাতত আমার এটাই লক্ষ্য।’

দেড়শ’র বেশি ম্যাচ খেলেও সেঞ্চুরি কম হওয়ায় হতাশা ঝরলো বাঁহাতি এই ওপেনারের কণ্ঠে, ‘১৭০টির বেশি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ফেলেছি। ৪০টা হাফসেঞ্চুরি। এদিক থেকে চিন্তা করলে সেঞ্চুরির সংখ্যা মাত্র ৯টি। বিষয়টি খুবই হতাশাজনক।’

গত দুই ম্যাচে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি তামিম। এটা নিয়ে খুব একটা হতাশ নন তামিম, ‘দুর্ভাগ্য বলবো না একে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং করা বেশ কঠিন ছিল। তখন উইকেট বিলিয়ে দেইনি বলেই তৃপ্ত আমি। আমি আসলে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। নির্দিষ্ট বোলারকে টার্গেট করেছিলাম। মাঝে মাঝে আক্রমণও করেছিলাম। তবে ভালো একটি বলে আউট হয়েছি বলে হতাশা নেই।’

৫০ ওভারের ক্রিকেটে ৬ হাজার রান থেকে ৬৪ রান দূরে আছেন তামিম। মঙ্গলবার হিথ স্ট্রিকের দলের বিপক্ষে রানটি করতে পারলেই এ ক্লাবের সদস্য হবেন তিনি। এই কীর্তিগুলোকে কেবল ব্যক্তিগত অর্জন মনে করে উপভোগ করতে চান তামিম, ‘দুটোই মাইলফলক। কেউ ১০ হাজার রান করলে এটা অবশ্যই মাইলফলক। জানি না কয়জন করেছে এটা। সাকিবের ১০ হাজার হয়েছে, মুশফিক সব মিলিয়ে ৩০০ ম্যাচ খেলেছে। এটাও মনে হয় না খুব বেশি মানুষ করেছে। আমাদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগে এগুলো।’

সাকিব ও তামিমের রানের প্রতিযোগিতা ছিল একই ধারায়। কিন্তু গত তিন বছরে অনেকখানি এগিয়ে গেছেন তামিম। তিন সংস্করণ মিলিয়ে প্রায় এক হাজার রানে পিছিয়ে সাকিব। ১০ হাজার ১ রান তার। আর তামিমের ১১ হাজার ৭৭ রান। নিয়মিত তিনে ব্যাটিং করায় দুই বন্ধুর প্রতিযোগিতা আবারও জমে উঠবে, এমনটাই ভাবছে ভক্তরা। তামিমও এমনটাই মনে করছেন, ‘এমন প্রতিযোগিতা হলে ভালোই হবে। দলের মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা থাকলে পারফরম্যান্স বের হয়ে আসে। সাকিব তিনে ব্যাট করায় অনেক বেশি ওভার ব্যাট করতে পারবে। এজন্য আমাকেও মনে রাখতে হবে যে এগিয়ে থাকতে হলে আমাকেও পারফর্ম করতে হবে। কেবল সাকিব না, মুশফিকও আছে। সে-ও অনেক রান করে ফেলেছে। ২০১৭ সালে দারুণ বছর গেছে তার।’

দুই ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তাই বলে লিগ পর্বের শেষ দুই ম্যাচকে গুরুত্বহীন মনে করছেন না তামিম, ‘প্রতিপক্ষ কে, সেটা নিয়ে আমাদের খুব একটা চিন্তা নেই। যেই আসবে তাদের সাথে খেলা লাগবে, ভালো খেলতে হবে। আমাদের কাজ হলো, কাল (মঙ্গলবার) আমাদের ম্যাচটা জেতা। কতটা পরিপূর্ণ হয়ে আমরা ম্যাচ জিততে পারি, সেদিকেই থাকবে আমাদের মনোযোগ।’