ফাইনালে রান তাড়ায় বাজে অভিজ্ঞতাও আছে ভারতের

২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনালে হারের পর ভারতীয় দলনিদাহাস ট্রফিতে টস রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সব ম্যাচেই টস জেতা অধিনায়ক প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তাতে সাফল্য পেয়েছে প্রায় সব দলই। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে তাই টসটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের জন্য। যদিও নিজেদের পক্ষে আসেনি, টস হেরে যাওয়ায় শুরুতে ব্যাটিংই করতে হয়েছে টাইগারদের।

টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সুফল পেয়েছে প্রায় সব দলই, পরে ব্যাট করে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। ব্যতিক্রম কেবল ভারত-বাংলাদেশের লিগ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচটি। টাইগাররা টস জিতলেও ম্যাচ জিততে পারেনি। ত্রিদেশীয় এই টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফাইনালের আগে ভারতই তাই একমাত্র দল, যারা আগে ব্যাট করে জিতেছে।

ওই ম্যাচ বাদ দিলে পরে ব্যাট করা দলের জয় শতভাগ। যে কারণে ফাইনালে টসটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু সেটা নিজেদের পক্ষে আসেনি, টস হেরে যাওয়ায় নামতে হয়েছে ব্যাটিংয়ে। নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের আগে ব্যাট করার পরিসংখ্যান বাংলাদেশের দিকে চোখ রাঙালেও ভারতের দুটি ফাইনালের রেকর্ড আত্মবিশ্বাসী করতে পারে তাদের। ফাইনালে রান তাড়া করায় বাজে অভিজ্ঞতাও যে আছে ভারতের।

২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ও ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে রান তাড়া করে হারতে হয়েছিল ভারতকে। নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের আগে ওই দুটি ম্যাচ তাই সামনে এসেই পড়ছে। ২০০৩ সালে জোহানেসবার্গের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল সৌরভ গাঙ্গুলিরা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া আগে ব্যাট করে রিকি পন্টিংয়ের হার না মানা ১৪০ রানের ওপর ভর করে ২ উইকেটে করেছিল ৩৫৯ রান। কঠিন সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত ৩৯.২ ওভারে অলআউট হয় ২৩৪ রানে।

গত বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও রান তাড়ায় ধরাশয়ী ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে হারতে হয়েছিল বাজেভাবে। সরফরাজ আহমেদরা প্রথমে ব্যাট করে ফখর জামানের ১১৪ রানের ইনিংসের ওপর ভর দিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে করে ৩৩৮ রান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত ৩০.৩ ওভারে অলআউট মাত্র ১৫৮ রানে!

২০১১ সালের বিশ্বকাপ কিংবা ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে অবশ্য রান তাড়া করেই জিতেছিল ভারত। এরপরও শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে রান তাড়ায় ভারতের এই দুটি বাজে রেকর্ড বাংলাদেশকে অনুপ্রাণিত করতেই পারে। তা যতই নিদাহাস ট্রফিতে প্রথমে ব্যাট করে হারের পরিসংখ্যান ভারি হোক না কেন!