পায়ের ব্যথায় দিল্লির বিপক্ষে নিজে থেকে সরে দাঁড়ান গেইল। তার বদলে লোকেশ রাহুলের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ক্যারিবিয়ান তারকার অনুপস্থিতিতে পাঞ্জাবের ব্যাটিং লাইন নাজুক হয়ে পড়েছিল।
দ্বিতীয় উইকেটে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের সঙ্গে লোকেশের ৩৬ রানের জুটি ছিল সর্বোচ্চ। মিডল অর্ডারে ডেভিড মিলার ও করুন নায়ারের ৩১ রান ছিল কিছুটা স্বস্তির। ৩৪ রানের সেরা ইনিংস খেলেন নায়ার। মিলারের ব্যাটে আসে ২৬ রান। এছাড়া লোকেশ (২৩), আগারওয়াল (২১) ও যুবরাজ সিং (১৪) দুই অঙ্কের ঘরে রান করেন।
পাঞ্জাবের ব্যাটিং দুর্দশায় মূল ভূমিকা রাখেন দিল্লির লিয়াম প্লাঙ্কেট। তিন উইকেট নেন তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে। দুটি করে পান ট্রেন্ট বোল্ট ও আবেশ খান।
শেষ দুই ওভারে ২১ রান দরকার ছিল দিল্লির। তবে প্রথম তিন ওভারে ৪১ রান দেওয়া বারিন্দার স্রান তার চতুর্থ ও দলীয় ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান। শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ১৭ রান করা থেকে দিল্লিকে ঠেকানোর দায়িত্ব পান মুজিব। আয়ার দ্বিতীয় বলে ৬ মারার পর চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ২ ও ৪ রান নেন। শেষ বলে দরকার ছিল ৫ রান। ছক্কা হাঁকানোর শটই খেলেছিলেন আয়ার। কিন্তু লং অফে উড়ন্ত বলটি লুফে নেন ফিঞ্চ। ৪৫ বলে ৫৭ রানে আউট আয়ার।
তারপর শুরু হয় পাঞ্জাবের উদযাপন, আর হতাশায় হাত পড়ে দিল্লির অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের মাথায়। পাঞ্জাবের জয়ে বল হাতে দুটি করে উইকেট নেন রাজপুত, মুজিব ও টাই।
৬ ম্যাচে পঞ্চম জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠল পাঞ্জাব। আর মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে দিল্লি। ক্রিকইনফো