লঙ্কান ঘূর্ণিতে তিন দিনেই হার প্রোটিয়াদের

শ্রীলঙ্কার জয়ের হাসিশ্রীলঙ্কার স্পিনের সামনে অসহায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে ১২৩ রানে গুটিয়ে যাওয়া প্রোটিয়ারা দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট মাত্র ৭৩ রানে! গল টেস্টে তাই তিন দিনেই হেরে গেছে সফরকারীরা। ২৭৮ রানের বিশাল জয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে লঙ্কানরা এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।

দ্বিতীয় ইনিংসে দাঁড়াতেই পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কার মাটিতে সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড গড়ে অলআউট ৭৩ রানে। তার আগে প্রথম ইনিংসে ১২৬ রানে শেষ হয়ে যাওয়া সফরকারীরা উপমহাদেশের মাটিতে সবচেয়ে বাজেভাবে হারের লজ্জায় ডুবেছে। একই সঙ্গে সিরিজ জয়ের স্বপ্নটাও শেষ হয়ে গেছে তাদের।

অফস্পিনার দিলরুয়ান পেরেরা করেছেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। ৭৮ রানে ১০ উইকেট পাওয়া এই স্পিনারের দ্বিতীয় ইনিংসেই শিকার ৬টি। আরেক স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ ৩৮ রান দিয়ে প্রোটিয়াদের তিন ব্যাটসম্যানসকে ফিরিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকার নবম স্থানে উঠে এসেছেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫ উইকেট পাওয়া হেরাথ (৪২৩ উইকেট) টপকে গেছেন শন পোলক ও ডেল স্টেইনকে। প্রোটিয়া পেসারও তার স্বদেশি পোলককে ধরে ফেলেছেন নামের পাশে ৪২১ উইকেট যোগ করে।

দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ১৯০ রানে গুটিয়ে গেলে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য ঠিক হয় ৩৫২ রান। লড়াই করার সামান্য সুযোগও তৈরি করতে পারেনি ফাফ দু প্লেসিরা। সফরকারীদের মাত্র তিন ব্যাটসম্যান যেতে পেরেছেন দুই অঙ্কের ঘরে। ভারনন ফিল্যান্ডার অপরাজিত ২২ রান না করলে আরও বড় লজ্জায় ডুবতে হতো তাদের।

শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে সতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝে আলো ছড়িয়েছিলেন দিমুথ করুণারত্নে। দলের ২৮৭ রানের মধ্যে এই ওপেনপারের ব্যাট থেকেই আসে ১৫৮ রান। তার ওই ইনিংসটাই মূলত গড়ে দিয়েছে দুই দলের পার্থক্য, সেটার প্রাপ্তি হিসেবে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন করুণারত্নে। ক্রিকইনফো

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা: ২৮৭ ও ১৯০

দক্ষিণ আফ্রিকা: ১২৬ ও ৭৩ (ফিল্যান্ডার ২২*, এইডেন মারক্রাম ১৯, ডি কক ১০, দিলরুয়ান ৬/৩২, হেরাথ ৩/৩৮)।

ফল: শ্রীলঙ্কা ২৭৮ রানে জয়ী।

ম্যাচসেরা: দিমুথ করুণারত্নে।

সিরিজ: দুই ম্যাচের সিরিজে শ্রীলঙ্কা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।