শ্রীলঙ্কার শ্বাসরুদ্ধকর জয়

শ্রীলঙ্কার উইকেট উৎসব৬ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ৮ রান, হাতে ২ উইকেট। ক্রিজে যখন ডেভিড মিলারের মতো তাণ্ডব চালানো ব্যাটসম্যান আছেন, তখন প্রোটিয়াদের পক্ষেই ছিল পাল্লা ভারি। তবে শেষ ওভারের চরম নাটকীয়তায় দেখা মিললো উল্টো দৃশ্য। সুরঙ্গা লাকমালের চমৎকার বোলিংয়ে ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডে শ্রীলঙ্কা পেল ৩ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয়।

ক্যান্ডির চতুর্থ ওয়ানডেতে বৃষ্টি আঘাত হেরেছে বারকয়েক। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কার ইনিংস থেকেই হয়েছে বৃষ্টি। দুই দফা বৃষ্টিতে ম্যাচ নেমে আসে ৩৯ ওভারে। দাসুন শানাকা, থিসারা পেরেরা ও কুশল পেরেরার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৯ ওভারেই লঙ্কানরা স্কোরে জমা করে ৭ উইকেটে ৩০৬ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং ইনিংসের শুরুতে আবারও ‍বৃষ্টি নামলে ২১ ওভারে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য ঠিক হয় ১৯১।

তীরে গিয়েও তরী ভিড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ২১ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রানে থামে তারা। পাঁচ ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজ আগেই হেরে বসা স্বাগতিকরা তাতে ব্যবধান কমানো ৩-১-এ।

সিরিজ হেরে ক্যান্ডিতে নামা লঙ্কানদের ব্যাট হাতে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার নিরোশান ডিকবেলা (৩৪) ও উপুল থারাঙ্গা (৩৬)। শুরুর ধারা সচল রেখে কুশল পেরেরা ৩২ বলে করেন ৫১ রান। পরে তাকেও ছাড়িয়ে যান শানাকা। লোয়ার অর্ডারে ঝড় তুলে ৩৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় খেলেন ৬৫ রানের ইনিংস। আর থিসারা পেরেরা ৪৫ বলে অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে।

২১ ওভারে ১৯১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রোটিয়াদের শুরুটাও হয়েছিল চমৎকার। অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলা যোগ করেন ৩৪ রান। ডি কক করেন ২৩, আর আমলার ব্যাট থেকে আসে ৪০ রানের ইনিংস। জেপি দুমিনি ২৩ বলে ৩৮ রান করে জয়ের পথে তৈরি করেন। আর মিলারের (২১) ব্যাটে তা পূর্ণতা পেতে যাচ্ছিল। তবে লাকমাল সেটা হতে দেননি, চমৎকার বোলিংয়ে তিনি নিশ্চিত করেন শ্রীলঙ্কার জয়। ক্রিকইনফো