পাকিস্তানকে ১৬২ রানে গুটিয়ে দিলো ভারত

ভারত প্রায় সময়ই উইকেট উদযাপন করেছেএশিয়া কাপে গ্রুপের শেষ ম্যাচে বড় স্কোর গড়তে পারল না পাকিস্তান। মঙ্গলবার দুবাইয়ে ভারতের বোলিং আক্রমণে তারা ৪৩.১ ওভারে মাত্র ১৬২ রানে অলআউট হয়েছে।

বড় ম্যাচ বলে ২৮০’র উপর স্কোর বোর্ডে জমা করতে চেয়েছিলেন সরফরাজ আহমেদ। টস জয়ের পর ব্যাটিং নিয়ে পাকিস্তানি অধিনায়ক এমন প্রত্যাশার কথা জানালেও ব্যাটসম্যানরা তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারলেন না।

শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল বাবর আজম ও শোয়েব মালিকের ব্যাটে। তাদের পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই ইনিংসই হলো কেবল বলার মতো। তাদের হাফসেঞ্চুরি না হওয়ার আক্ষেপের সঙ্গে অন্যদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্কোরবোর্ডে ২০০ রানের ধারেকাছেও যেতে পারেনি পাকিস্তান।

ভুবনেশ্বর কুমার তার টানা দুই ওভারে সাজঘরে ফেরান পাকিস্তানের ওপেনারদের। হংকংয়ের বিপক্ষে ৫০ রানে অপরাজিত থাকা ইমাম উল হকের ব্যাট ছুঁয়ে বল ধরা পড়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির গ্লোভসে। মাত্র ২ রানে আউট হন তিনি। ৯ বল খেলেও রানের খাতা না খুলে ফখর জামান বোল্ড হন ভুবনেশ্বরের কাছে।

মাত্র ৩ রানে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়ায় মালিক ও বাবরের পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে। বাবরকে ৪৭ রানে বোল্ড করে ব্র্রেকথ্রু আনেন কুলদ্বীপ যাদব, ভেঙে যায় ৮২ রানের জুটি।

কিছুক্ষণ পর হার্দিক পান্ডিয়া বল করতে গিয়ে কোমড়ের চোট পেলে ধাক্কা খায় ভারত। যদিও তার বদলি নামা ফিল্ডার মনীষ পান্ডে বাউন্ডারি সীমানার কাছে দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরে সরফরাজকে (৬) সাজঘরে পাঠান। উইকেটটি নেন কেদার যাদব।

তার কিছুক্ষণ আগে ভুবনেশ্বরের হাতে জীবন পান মালিক। কিন্তু ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারেননি রান আউট হলে। অম্বতি রাইডু দারুণ থ্রোতে নন স্ট্রাইকার প্রান্তে তিনি পৌঁছানোর আগেই স্টাম্প ভেঙে দেন। ৪৩ রানের ইনিংস খেলে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে থামেন মালিক।

১২১ রানের মধ্যে আরও দুটি উইকেট হারায় পাকিস্তান। আসিফ আলী ৯ ও শাদাব খান ৮ রানে কেদারের বলে ধোনির ক্যাচ হন। ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ আমির শক্ত হাতে ওই ধস থামালেও বেশিদূর এগোতে পারেননি। তাদের ৩৭ রানের জুটি ভাঙতেই শেষ হয় সব প্রতিরোধ।

টানা তিন ওভারে ৪ রানের ব্যবধানে শেষ ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। জশপ্রীত বুমরাহ টানা দুই ওভারে দুটি উইকেট নিয়ে তাদের ১৬২ রানে অলআউট করেন। মাঝের ওভারে ভুবনেশ্বর পান তার তৃতীয় উইকেট। আমির অপরাজিত ছিলেন ১৮ রানে। ফাহিম করেন ২১ রান।

ভুবনেশ্বর ও কেদার পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট। দুটি নেন বুমরাহ।