‘কম বয়সে আমরাও বীর পালোয়ান ছিলাম না’

সাকিব-তামিম-মাশরাফি-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহই বাংলাদেশের সাফল্যের রূপকারবাংলাদেশের ক্রিকেটে সাফল্য মানেই পঞ্চপাণ্ডবের জ্বলে ওঠার গল্প। ‘পঞ্চপাণ্ডব’ মানে মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার উঠে এলেও সাফল্যের জন্য আজও পাঁচ তারকার দিকে তাকিয়ে থাকে টাইগাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে বড় অবদান ছিল মাশরাফি-সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর।

এশিয়া কাপে তরুণরা এ পর্যন্ত আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে মোহাম্মদ মিঠুনের ৬৩ রান ছাড়া বলার মতো ইনিংস কারও নেই। দুই ওপেনার লিটন দাস আর নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যর্থতায় তো টুর্নামেন্টের মাঝপথেই দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন ইমরুল কায়েস আর সৌম্য সরকার।

তরুণ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স দিন দিনই প্রশ্নের মুখে। সাকিব অবশ্য তরুণ সতীর্থদের পাশেই আছেন দুঃসময়ে। শনিবার টিম হোটেলে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা তরুণদের ওপর একটু বেশিই চাপ দিচ্ছি, যে কারণে ওদের ভালো করার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। আপনারা সব সময় আমাদের পাঁচ জনকে নিয়ে আলোচনা করেন। তবে কম বয়সে আমরাও বীর পালোয়ান ছিলাম না। গত চার বছরে হয়তো কিছু করেছি। কিন্তু তার আগের ৬/৭ বছরে আমরাই বা কতটা ভালো খেলেছি! নতুন নতুন পরিস্থিতিতে মানুষ শেখার সুযোগ পায়। আমরা তরুণদের সেভাবে সুযোগ দিতে পারছি না, তাই ওদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’

রবিবারের ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশ নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইমরুলের ওপেন করার জোরালো সম্ভাবনা। ‘টুর্নামেন্টের মাঝপথে সৌম্য-ইমরুলের অন্তর্ভুক্তিকে কীভাবে দেখছেন?’ সাকিবের উত্তর, ‘এটা একটু অস্বাভাবিক। সাধারণত এমন হয় না। তবে দলের প্রয়োজনে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতেই পারে।’

ছন্দে না থাকা সৌম্য-ইমরুলের সাফল্য নিয়ে সাকিব অবশ্য আশা-নিরাশার দোলাচলে। এ সম্পর্কে তার মন্তব্য, ‘দেখা যাক, তারা দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে কিনা। কারও না কারও ওপরে তো ভরসা রাখতেই হবে। আমি আশাবাদী, তারা দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে।’