সোহাগ গাজীর ঘূর্ণিতে এলোমেলো রংপুর

সোহাগ গাজীর ৫ উইকেটসোহাগ গাজীর ঘূর্ণিতে এলোমেলো রংপুর বিভাগ। জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) চতুর্থ রাউন্ডের প্রথম স্তরের ম্যাচে তার দল বরিশাল বিভাগ রয়েছে সুবিধাজনক জায়গায়। এই স্তরে লিগ টেবিলের শীর্ষ দুই দল খুলনা-রাজশাহীর ম্যাচে প্রথম দিন থেকেই লড়াইয়ের উত্তেজনা।

রংপুর-বরিশাল

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালের বোলারদের সামনে কুপোকাত রংপুরের ব্যাটসম্যানরা। সবচেয়ে বেশি ভুগেছে তারা সোহাগ গাজীর সামনে। এই স্পিনার ৪০ রান খরচায় ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ভেঙে দিয়েছেন তাদের ব্যাটিং লাইন-আপ।

রংপুর ক্রিকেট গার্ডেনে প্রথম দিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রংপুরের মাত্র চার ব্যাটসম্যান যেতে পেরেছেন দুই অঙ্কের ঘরে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছেন রাকিন আহমেদ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান আসে নাঈম ইসলামের ব্যাট থেকে। আর লোয়ার অর্ডারে রকিবুল হক করেছেন ১৭ রান।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে গাজীর ২১তম ৫ উইকেট প্রাপ্তির দিনে ২ উইকেট নিয়েছেন মনির হোসেন। আর একটি করে উইকেট পেয়েছেন তৌহিদ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন।

ব্যাট হাতে খুব একটা স্বস্তিতে নেই বরিশাল বিভাগ। ৩৫ রান তুলতে ২ উইকেট হারিয়েছে তারা। শুভাশিষ রায়ের পেসে ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস ফিরেছেন শূন্য রানে, আর শামসুল ইসলাম আউট হয়েছেন ২ রানে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন রাফসান আল মাহমুদ (১৪*) ও আল-আমিন (৮*)।

খুলনা-রাজশাহী

শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে খুলনা তাদের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে করেছে ২৮১ রান। হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেছেন তিন ব্যাটসম্যান- তুষার ইমরান, সৌম্য সরকার ও এনামুল হক।

রাজশাহীর বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না খুলনার। মাত্র ১২ রানের তারা হারায় ওপেনার মেহেদী হাসানকে (১১)। শুরুর ওই ধাক্কা অবশ্য কাটিয়ে ওঠে এনামুল ও ফর্মে থাকা সৌম্যের ব্যাটে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১০১ রান যোগ করার পথে দুজনই পূরণ করেন হাফসেঞ্চুরি।

সেঞ্চুরির পথেও হাঁটছিলেন সৌম্য। আগের ম্যাচের মতো চতুর্থ রাউন্ডেও সুযোগ নষ্ট করেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৯৬ বলে ৬৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান খুলনার এই ব্যাটসম্যান। ওপেনার এনামুলও হাফসেঞ্চুরির পর ফিরে যান, করেন ৫৬ রান।

ঘরোয়া ক্রিকেট ব্যাট হাতে বসন্ত চলা তুষার ইমরান সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন আরেকটি সেঞ্চুরির। চমৎকার ব্যাটিংয়ে শতকের পথে হাঁটলেও সানজামুল ইসলামের বলে তাকে থামতে হয় ৭১ রানে। ১২৭ বলের ইনিংসটি তুষার সাজান ৯ বাউন্ডারিতে।

তিন হাফসেঞ্চুরির পর নুরুল হাসানের ২৫ ও জিয়াউর রহমানের হার না মানা ৩৭ রানে ভর করে খুলনা দিন শেষ করেছে ৭ উইকেটে ২৮১ রানে।

প্রথম দিনে রাজশাহীর সফল বোলার সানজামুল ইসলাম। এই স্পিনার ৭৩ রান খরচায় পেয়েছেন ৩ উইকেট। আর ফরহাদ রেজার শিকার ২ উইকেট।