মুশফিকের মনে এখন ট্রিপল সেঞ্চুরির বিশ্বাস

মুশফিকুর রহিমটেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবলে এখন ট্রিপল সেঞ্চুরির বিশ্বাস তার মনে।

বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিতীয়বার সেঞ্চুরিকে ডাবল বানিয়েছেন মুশফিক। ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে তার সামনে তৈরি ছিল ট্রিপল সেঞ্চুরির পথ, কেননা ৭ উইকেটে ৫২২ রানে যখন ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ, মুশফিক তখন অপরাজিত ২১৯ রানে। দলের প্রয়োজনে ইনিংস ঘোষণা করার আগে অবশ্য টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে ফেলেন তিনি। সাকিবের ২১৭ পেছনে ফেলেছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

ঢাকা টেস্টের ব্যাটিং আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ‍মুশফিককে। ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে নাম তোলেন তিনি। পাঁচ বছর পর আরেকটি দ্বিশতক হাঁকানোর পর এখন ট্রিপলের বিশ্বাসও গেঁথে গেছে মুশফিকের মনে।

দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেটি প্রকাশও পেল তার কথায়, ‘আমার মনের ভেতর এটা বিশ্বাস করি (ট্রিপল সেঞ্চুরি করতে পারব)। প্রথম যখন ২০০ করেছি, তার আগে মনে হয়নি পারব। পরেও মনে হয়েছে আবার কবে না কবে পারব। নিজের ওপর ও রকম বিশ্বাস ছিল না।’

তবে এখন বিশ্বাস বেড়ে গেছে তার অনেক, ‘এখন এটা (দ্বিতীয়বার ডাবল) পাওয়ার পর আমার বিশ্বাস একটু হলেও ফিরে এসেছে, মনে হচ্ছে আরও বড় অবদান রাখতে পারব। আমার মনে হয়, আমাদের টপ অর্ডারদের কারও জন্য এটা অসম্ভব না (ট্রিপল সেঞ্চুরি)।’

তাহলে কি এই ডাবলকেই এগিয়ে রাখছেন মুশফিক? আপাতত না, তবে একটা কিন্তু রেখে দিলেন তিনি, ‘এই সেঞ্চুরিকে এগিয়ে রাখার সময় আসেনি। যদি জিততে পারি তাহলে এটাই এগিয়ে থাকবে। কারণ, আমরা গলে টেস্ট জিততে পারিনি, ড্র করেছিলাম। ওটাও কঠিন ছিল। কারণ ওরা ৫৭০ রান করেছিল।’

এরপরও কোন ইনিংসটি ‘স্পেশাল’? মুশফিকের উত্তর, ‘দুটি ইনিংসই আমার জন্য স্পেশাল। আমাদের তামিম, সাকিব ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। আমরা দেখিয়েছি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারে। অবশ্যই মনের গভীরে বিশ্বাস ছিল যে, আমি আমার জায়গাটা আবার ফিরে পাবো। এটা (বিশ্বাস) খেলোয়াড়দের মধ্যে থাকা খুবই জরুরি।’