ব্রাভোকে বোল্ড করে স্বস্তি ফেরালেন রুবেল

রুবেল হোসেন (ফাইল ছবি)বারবার বোলিং পরিবর্তন করেও লাভ হচ্ছিল না। অবশেষে রুবেল হোসেন স্বস্তি ফেরালেন বাংলাদেশ ক্যাম্পে। এই পেসারের বলে বোল্ড হয়ে গেছেন ড্যারেন ব্রাভো। তার আউটের পর মিরপুরের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৯ ওভারে ২ উইকেটে ৮২।

শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও ওই ধাক্কা কাটিয়ে ক্যারিবিয়ানদের পথে ফেরান শাই হোপ ও ড্যারেন ব্রাভো। তাদের জুটি ভীতি ছড়াচ্ছিল বাংলাদেশ দলে। কিছুতেই যখন তাদের জুটি ভাঙা যাচ্ছিল না, ঠিক তখনই রুবেলের হাতে বল তুলে দিলেন মাশরাফি। নিজের চতুর্থ বলেই এই পেসার ব্রাভোকে ফিরিয়ে ভাঙেন ৬৫ রানের জুটি। বোল্ড হওয়া ব্রাভো ৪৩ বলে করেছেন ২৭ রান।

দ্বিতীয় বলেই মিরাজের উইকেট

বল হাতে তুলে নেওয়ার দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই উইকেট মেহেদী হাসান মিরাজের। এই স্পিনারের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন ক্যারিবিয়ান ওপেনার চন্দ্রপল হেমরাজ।

দুই প্রান্তে স্পিন আক্রমণ দিয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে ক্যারিবিয়ান দুই ওপেনারকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছিলেন সাকিব। আর দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসা মিরাজ তার দ্বিতীয় বলেই তুলে নেন উইকেট। হেমরাজকে ফেরান তিনি এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান মাত্র ৩ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে।

বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫৫

তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের পর জ্বলে উঠলো সাকিব আল হাসানের ব্যাট। তিন ব্যাটসম্যানের হাফসেঞ্চুরিতে লড়াই করার মতো পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুরের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে স্বাগতিকরা ৭ উইকেটে করেছে ২৫৫ রান।

পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার- মাশরাফি, মুশফিক, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ ও তামিম একসঙ্গে নেমেছিলেন ‘শততম’ ওয়ানডে খেলতে। উপলক্ষটা ব্যাট হাতে স্মরণীয় করে রাখলেন তামিম-সাকিব-মুশফিক। তবে হাফসেঞ্চুরি করেও ইনিংস লম্বা করতে না পারার হতাশায় পুড়েছেন তারা।

তামিম ৬৩ বলে করেন ৫০ রান। মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ৮০ বলে ৬২। আর সাকিব ৬২ বলে খেলেছেন দলীয় সর্বোচ্চ ৬৫ রানের ইনিংস। তাদের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর ৩০ রানে ভর দিয়ে আড়াই শ পার করে বাংলাদেশ।

ক্যারিবিয়ানদের সবচেয়ে সফল বোলার ওশানে থমাস। ১০ ওভারে ৫৪ রান খরচায় তার শিকার ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন কেমার রোচ, দেবেন্দ্র বিশু, কেমো পল ও রোভম্যান পাওয়েল।