৩ উইকেটে ৩৫৪ রানে দিন শেষ করেছে পূর্বাঞ্চল। শীর্ষ দল মধ্যাঞ্চল ৮ উইকেটে ২৩৪ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে।
পূর্বাঞ্চল-উত্তরাঞ্চল
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় পূর্বাঞ্চল। দ্বিতীয় উইকেটে রনিকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মুমিনুল হক (২৬)। ৪০ রানের জুটি গড়ে সোহাগ গাজীর শিকার হন অধিনায়ক।
মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি গড়েন রনি, ৮২ বলে করেন ফিফটি। মাহমুদুল তার সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৭২ রান এনে দিয়ে ফিরে যান। ২৯ রান করে সানজামুল ইসলামের বলে ধীমান ঘোষের ক্যাচ হন তিনি।
তারপর ক্রিজে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন রনি আর আশরাফুল। ২৪১ রানের অবিশ্বাস্য এক জুটি গড়েন দুজনে। রনি ১৪৭ বলে ১২ চার ও ২ ছয়ে দশম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি করেন। আর ৯৭ বলে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি পাওয়া আশরাফুল প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ২০তম শতক হাঁকান ১৮৩ বল খেলে। ১০৭ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। অন্য প্রান্তে ১৮৩ রানে টিকে ছিলেন রনি, ১৯টি চার ও ৫ ছয়ে সাজানো তার ইনিংস।
উত্তরাঞ্চলের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন ইমরান আলী, সোহাগ ও সানজামুল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে দারুণ শুরু করে দক্ষিণাঞ্চল। ১৬ রানে মধ্যাঞ্চলের ২ ব্যাটসম্যানকে ফেরায় তারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টে ৭৬ রান করা সাদমান ইসলাম ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ঘরোয়া ক্রিকেটেও। মধ্যাঞ্চলের এই ওপেনার বিপদের সময় হাল ধরেন মার্শাল আইয়ুবকে নিয়ে। ৮৫ রানের জুটি গড়েন দুজন।
আব্দুর রাজ্জাক এই জুটি ভাঙেন মার্শালকে ৪৪ রানে ফিরিয়ে। তারপর সাদমান ইনিংস সেরা ৬০ রানে রানআউট হলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে মধ্যাঞ্চল। তাইবুর রহমান একপ্রান্ত আগলে রেখে ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আল আমিন হোসেন দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষে তিনটি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার। দুটি করে পান রাজ্জাক ও মেহেদী হাসান।