চার ফিফটিতে দক্ষিণাঞ্চলের লিড

রকিবুল হাসানের সঙ্গে তুষারের ১৩১ রানের জুটি ভাঙতেই শেষ হয় দিনবাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) শীর্ষে মধ্যাঞ্চল, আর সবার শেষে দক্ষিণাঞ্চল। চতুর্থ রাউন্ডে আবারও মুখোমুখি দুই দল। মধ্যাঞ্চল এই মৌসুমে একমাত্র জয়ে শুরু করেছিল দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে। কিন্তু দ্বিতীয়বারের দেখায় প্রতিপক্ষের চার ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে পেছনে পড়েছে তারা। আরেক ম্যাচে পূর্বাঞ্চল রানের পাহাড় গড়লেও দারুণ লড়াই করছে উত্তরাঞ্চল।

মধ্যাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই বাকি ২ উইকেট হারায় মধ্যাঞ্চল। তাদের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৬১ রানে। তারপর ৫ উইকেটে ৩০৯ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে দক্ষিণাঞ্চল। ৫ উইকেট হাতে রেখে তাদের লিড ৪৮ রানের।

৮ উইকেটে ২৩৪ রানে বুধবার খেলা শুরু করে মধ্যাঞ্চল। দিনের প্রথম বলে ইয়াসিন আরাফাত ৫ রানে রানআউট হলে শেষ জুটিতে আরাফাত সানিকে নিয়ে হাল ধরেন তাইবুর রহমান। পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসকে বেশিদূর নিতে পারেননি তিনি। ইনিংস সেরা ৬৮ রানে মেহেদী হাসানের তৃতীয় শিকার হন তাইবুর। ভাঙে ২৬ রানের জুটি।

দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষে মেহেদীর সমান তিনটি করে উইকেট নিয়ে সেরা বোলার আল আমিন হোসেন। দুটি ছিল আব্দুর রাজ্জাকের দখলে।

জবাব দিতে নেমে মাত্র ৬ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে দক্ষিণাঞ্চলের। শাহরিয়ার নাফীস (৪) বিদায় নেওয়ার পর ফজলে মাহমুদ ও এনামুল হক বিজয়ের ১৪৬ রানের জুটি প্রতিরোধ গড়ে। দুজনেই ফিফটি করেন। ৭৭ রানে এনামুল আর ৭৪ রানে ফজলে আরাফাত সানির শিকার হন।

এই ধাক্কা বেশ জোরেশোরে লেগেছিল দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটিং লাইনে। তবে তুষার ইমরান ও রকিবুল হাসানের ১৩১ রানের জুটিতে মধ্যাঞ্চলকে পেছনে ফেলে তারা। তুষার ৭৮ রানে আউট হন। ৫৪ রানে টিকে ছিলেন রকিবুল।

মধ্যাঞ্চলের পক্ষে আরাফাত তিন উইকেট নেন। দুটি পান ইয়াসিন।

পূর্বাঞ্চল-উত্তরাঞ্চল

আগের দিনের দুই সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ আশরাফুল ও রনি তালুকদার নতুন দিন ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তবে তাদের গড়ে দেওয়া ভিতে পূর্বাঞ্চল করে ৪৬৬ রান। জবাবে দুই ফিফটিতে ২ উইকেটে ১৭৮ রান উত্তরাঞ্চলের। ৮ উইকেট হাতে রেখে এখনও তারা পিছিয়ে ২৮৮ রানে।

১৮৩ রানে খেলতে নামা রনিকে দিনের তৃতীয় ওভারেই ফেরান এবাদত হোসেন। ২৪৫ বলে ১৯ চার ও ৫ ছয়ে ১৮৫ রানের সেরা ইনিংস খেলেন পূর্বাঞ্চল ওপেনার। এতে ভাঙে ২৪৪ রানের দারুণ এক জুটি।

আশরাফুল ১০৭ রানে খেলতে নেমেছিলেন। তিনি বিদায় নেন ১৩৬ রান করে। তার ২৫১ বলের ইনিংসে ছিল ১৫টি চার। তারপর কেবল তাইজুল ইসলামের ৩৭ রান ছিল উল্লেখযোগ্য।

প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ১৬তম বার এক ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে উত্তরাঞ্চলের পক্ষে সেরা বোলার সানজামুল ইসলাম।

বড় ইনিংসের জবাবে জুনায়েদ সিদ্দিকীকে নিয়ে শক্ত জুটির ইঙ্গিত দেন জহুরুল ইসলাম। কিন্তু জুনায়েদকে ৫১ রানে ফিরিয়ে ৯৮ রানের জুটি ভাঙেন আবু জায়েদ রাহী। জহুরুলও ফিফটি করে মাঠ ছাড়েন। ৬৫ রান করেন উত্তরাঞ্চল অধিনায়ক। ফরহাদ হোসেন ৩৪ ও নাঈম ইসলাম ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।