সাউদির তোপের পর ডিকবেলার লড়াই

সতীর্থদের সঙ্গে টিম সাউদির আরেকটি উইকেট উদযাপনটিম সাউদির পেস আগুনে এলোমেলো শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার। নিউজিল্যান্ডের পেসারদের সামনে প্রতিরোধ গড়তে পারলেন কেমন তিন ব্যাটসম্যান। দিমুথ করুণারত্নে ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের হাফসেঞ্চুরির পর লড়াই চালিয়েছেন নিরোশান ডিকবেলার। এই ব্যাটসম্যানের হার না মানা হাফসেঞ্চুরিতে ভর দিয়ে ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দিন শেষে লঙ্কানদের স্কোর ৯ উইকেটে ২৭৫।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমেই শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামান সাউদি। তার সুইং আর বাউন্সে দিশেহারা সফরকারীরা মাত্র ৯ রানেরই হারায় ৩ উইকেট। দানুস্কা গুনাথিলাকা (১), ধনাঞ্জয় ডি সিলভা (১) ও কুশল মেন্ডিসকে (২) ফেরানো সাউদির শিকার ৫ উইকেট।

শুরুতেই কঠিন চাপে পড়া লঙ্কানদের টেনে তোলেন ওপেনার করুণারত্নে ও ম্যাথুজ। চতুর্থ উইকেটে তারা যোগ করেন ১৩৩ রান। চমৎকার ব্যাটিংয়ে দুজনই পূরণ করেন হাফসেঞ্চুরি। টেস্ট ক্যারিয়ারের ২১তম ফিফটি করে সেঞ্চুরির পথেও হাঁটছিলেন করুণারত্নে। কিন্তু নাইল ওয়াগনারের বলে ধরা পড়েন তিনি উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিংয়ের হাতে। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১৪৪ বলে খেলে যান ৭৯ রানে কার্যকরী ইনিংস।

তার মতোই আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে ম্যাথুজকে। টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩২তম হাফসেঞ্চুরি পূরণ করার পর তিনিও পাননি সেঞ্চুরির দেখা। ৮৩ রানে সাউদির পঞ্চম শিকার হয়ে ছাড়েন মাঠ। ১৫৩ বলের চমৎকার ইনিংসটি সাবেক এই অধিনায়ক সাজান ৯ চার ও এক ছক্কায়। তার আউটের আগেই সাউদির বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে দলের বিপদ বাড়িয়ে যান অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল (৬)।

ওই মুহূর্তে দলের হাল ধরেন ডিকবেলা। তার চমৎকার ব্যাটিংয়ে লঙ্কানদের স্কোর এগিয়েছে। সময় উপযোগী ব্যাটিংয়ে এই উইকেটরক্ষক পূরণ করেন দশম টেস্ট হাফসেঞ্চুরি। দিন শেষে তিনি অপরাজিত ৭৩ রানে। ক্রিকইনফো

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

(প্রথম দিন শেষে)  

শ্রীলঙ্কা: প্রথম ইনিংসে ৮৭ ওভারে ২৭৫/৯ (ম্যাথুজ ৮৩, করুণারত্নে ৭৯, ডিকবেলা ৭৩*, দিলরুয়ান ১৬; সাউদি ৫/৬৭, ওয়াগনার ২/৭৫)।