বিপিএলে বদলে যাওয়া রনি তালুকদার

এবারের বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রনিঢাকা ডায়নামাইটসের জার্সিতে শিরোপা জিততে পারেননি, তবে বিপিএলে দারুণ পারফরম্যান্স রনি তালুকদারের। তিনটি হাফসেঞ্চুরি সহ ৩১৭ রান নিয়ে তিনিই ঢাকার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। বিপিএলের আগে সেভাবে আলোচনায় ছিলেন না। অথচ আন্দ্রে রাসেল-পোলার্ডদের মতো সতীর্থদের পেছনে ফেলে তিনি টুর্নামেন্টের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান। বাংলা ট্রিবিউনকে রনি জানালেন, কীভাবে নিজেকে বদলে ফেলে সাফল্য পেয়েছেন বিপিএলে।

ফাইনালে রনির ৩৮ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল ঢাকা ডায়নামাইটসকে। দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের শিকার না হলে কে জানে, তিনিই হয়তো ঢাকার শিরোপা জয়ের নায়ক হতেন। বিপিএলে এমন সাফল্যের রহস্য কী? রনির কথা, ‘আসলে তেমন কোনও রহস্য নেই। পাওয়ার হিটিং নিয়েও সেভাবে কাজ করিনি। তবে সাকিব ভাই আর সুজন ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। তারা আমাকে বুঝিয়েছেন, কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে খেলতে হবে। দলের বিদেশি ক্রিকেটারদের পরামর্শও কাজে লেগেছে। কারণ তারা টি-টোয়েন্টি ভালো খেলে। সবার কাছ থেকে আমি শিখেছি, কীভাবে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে হয়। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেললে যে কেউ সফল হবেই।’

ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কাছে বিশেষ কৃতজ্ঞ রনি, ‘সাকিব ভাইয়ের ক্রিকেট সেন্স অসাধারণ। তিনি টেকনিক্যালি, ট্যাকটিক্যালি বিভিন্নভাবে আমাকে সাহায্য করেছেন। আসলে পুরো টুর্নামেন্টে আমার গেম সেন্স খুব কাজে এসেছে। এখন এই সেন্সের আরও উন্নতি করতে হবে।’

সাকিব আর রুবেলের সঙ্গে রনি২০১৫ সালে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে করেছিলেন ২১ রান। জাতীয় দলে আর কোনও ম্যাচে সুযোগ পাননি। টানা দুই মৌসুম ব্যর্থ হওয়ার পর গত মৌসুমটা ভালোই কেটেছিল। নারায়ণগঞ্জের ছেলে রনি জানালেন, অনুশীলন সমস্যার কারণে কতটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাকে, ‘আমার কিছু সমস্যা ছিল। আমি নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলাম না, অনুশীলন করার তেমন সুযোগ পাচ্ছিলাম না। মিরপুরে অনুশীলন করা কঠিন। আর নারায়ণগঞ্জে তো অনুশীলনের তেমন সুবিধাই নেই। অনুশীলন ছাড়া ব্যাটিং করা সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। গত বছর জাতীয় ক্রিকেট লিগের আগে অনুশীলনের জন্য কাউকে পাচ্ছিলাম না। এমনকি বল থ্রো করার জন্যও লোক ভাড়া করতে হয়েছিল আমাকে। ক্রিকেটে ভালো করতে হলে অনুশীলনের কোনও বিকল্প নেই।’

বিপিএলে ভালো করলেও আত্মপ্রসাদে ভুগছেন না রনি। নিজের ব্যাটিংকে আরও শাণিত করার লক্ষ্য তার, ‘ভালোর তো কোনও শেষ নেই। আমাকে আরও ভালো করতে হবে, এবারের বিপিএলে খেলে যা শিখেছি সেগুলো পরিচর্যা করে ‌এগিয়ে যেতে হবে।’