বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের কাছে ত্রিদেশীয় সিরিজ হেরেছে তারা। মাশরাফি মুর্তজাদের কাছে ফাইনাল সহ তিন ম্যাচের কোনোটি জিততে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু ক্রিস গেইল, এভিন লুইস ও আন্দ্রে রাসেলকে বিশ্বকাপ দলে ফিরে পেয়েছে তারা। এই পুরো শক্তির দল নিয়ে প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে যেতে আশাবাদী উইন্ডিজ।
বিশ্বকাপের প্রথম দুটি আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় আসরে খেলেছিল ফাইনাল। আর ওই সাফল্যের অধ্যায় তৈরি করা গ্রেট খেলোয়াড়রাই অনুপ্রাণিত করছে এইবার। ২০১২ ও ২০১৬ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টি জয়ের মাধ্যমে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ এরই মধ্যে পেয়েছে তারা। এবার পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপেও এই অনুভূতি পেতে চায় গেইল-লুইসরা।
ইংল্যান্ডেই প্রথম দুটি বিশ্বকাপ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখানে ফিরে এসেছে আরও একটি আসর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে ট্রফি উঠছে, এই অনুভূতি রোমাঞ্চিত করছে ওপেনার লুইসকে, ‘এটা একটা স্বপ্ন। এই বিশ্বকাপ খেলতে পারলে প্রত্যেকে খুশি হবে। ২০১৬ সালে আমরা যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতলাম, অনুভূতিটা ছিল অসাধারণ। এই বছর পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপের জন্য মুখিয়ে আমরা। আশা করছি আমরা সেই চূড়ায় পৌঁছাবো।’
তিন বছর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানোর অনুভূতি এখনও ভোলেননি কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। আবারও সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত এই উইন্ডিজ অলরাউন্ডার, ‘দলের সঙ্গে এখানে আসতে পারা এবং বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া আমার কাছে অনেক কিছু। আমি সবসময় বলেছি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি গায়ে দেওয়া সেরা অনুভূতির এবং দারুণ ব্যাপার- তাও আবার বিশ্বমঞ্চে। ট্রফির জন্য সেরা দশটি দল লড়াই করতে যাচ্ছে, এটা বিশেষ কিছু।’
এই বিশ্বকাপে নিজের সেরাটা দিতে চান লুইস, ‘বিশ্বকাপ হচ্ছে সবচেয়ে বড় মঞ্চ। এখানে আপনাকে নিজের মতো করে চাপহীন থেকে, নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে হবে। বড় স্কোর করে দলকে সম্ভাব্য সেরা অবস্থানে রাখা নিশ্চিত করতে হবে। এই টুর্নামেন্টে আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে। আমরা আশাবাদী।’