২৭ বছর আগে যা ছিল বিস্ময়, এখন তা নিয়মিতই ঘটে থাকে। ওয়ানডেতে স্পিনারের বোলিং সূচনা এখন আর কোনও ‘ঘটনা’ নয়। তবে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম বলটি যে একজন স্পিনার করবেন, তা বোধহয় অনেকেই ভাবতে পারেননি। কারণ ইংলিশ কন্ডিশন।
ইংল্যান্ডের বেশিরভাগ পিচ যে পেস সহায়ক সেটা তো সবারই জানা। পেসারদের বিপক্ষে ব্যাটসম্যানদের লড়াই সেখানে সাধারণ ব্যাপার। এমনকি ভারতের বিখ্যাত ব্যাটিং লাইন-আপও বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ড পেস আক্রমণের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। ওভালে ট্রেন্ট বোল্ট (৪/৩৩) আর জিমি নিশামের (৩/২৬) দুরন্ত বোলিংয়ে ১৭৯ রানেই শেষ হয়ে যায় কোহলির দল।
ঠিক যেমন চমক ছিল দীপক প্যাটেলের ঘূর্ণিতে, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড যৌথ আয়োজনের প্রথম বিশ্বকাপে। খুব বেশি উইকেট হয়তো পাননি (৮ ম্যাচে ৮ উইকেট), কিন্তু নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেবার প্রতিপক্ষকে বেঁধে রেখেছিলেন প্যাটেল। লিগ পর্বে কোনও ম্যাচেই তার ইকোনমি রেট চারের ওপরে যায়নি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০ ওভারে মাত্র ৩৬ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছিলেন অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডারের উইকেট। শুধু সেমিফাইনালে তেমন ভালো করতে পারেননি, ইনজামামের তাণ্ডবে ১০ ওভারে দিয়েছিলেন ৫০ রান।
আজ শুরুতে উইকেট পেলেও বেশ খরুচে ছিলেন তাহির। বেয়ারস্টোর পর অধিনায়ক এউইন মরগানকে ফেরালেও ১০ ওভারে দিয়েছেন ৬১ রান। তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে ২৭ বছর আগের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছেন ঠিকই।