অধিনায়ক হাবিবুলের পাশে মাশরাফি

অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপের নবম ম্যাচে টস জিতলেন মাশরাফিওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস করতে নেমে হাবিবুল বাশার সুমনকে ছুঁয়ে ফেললেন মাশরাফি মুর্তজা। এতদিন বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ড ছিল সুমনের দখলে। আজ টন্টনে সাবেক সতীর্থর পাশে দাঁড়ালেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’।

সুমন মাত্র একটা বিশ্বকাপেই অধিনায়কত্ব করেছেন। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ৯টি ম্যাচে টস করতে নেমেছিলেন তিনি। সেবার ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ, জিতেছিল বারমুডার বিপক্ষেও। প্রথম ম্যাচে টাইগারদের কাছে হেরেই শচীন-সৌরভ-দ্রাবিড়-শেবাগদের বিদায় ঘণ্টা বাজতে শুরু করে। এরপর শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় ‘টিম ইন্ডিয়া’।

অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির এটা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। গতবার তার নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল টাইগাররা। আজ জেসন হোল্ডারের সঙ্গে টস করতে নেমে সুমনের পাশে দাঁড়ালেন মাশরাফি। অধিনায়ক হিসেবে তারও এটা নবম বিশ্বকাপ ম্যাচ। ২০ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামলে কীর্তিটা এককভাবে নিজের করে নেবেন তিনি।

১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিল আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে। সেবার পাঁচ ম্যাচের দুটিতে জয় এসেছিল, যার মধ্যে ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়। পাকিস্তানকে হারানোর পরই টেস্ট স্ট্যাটাসের পথ প্রশস্ত হয়েছিল।

চার বছর পরের বিশ্বকাপ দেশের ক্রিকেটের এক কালো অধ্যায়। ২০০৩ সালে খালেদ মাসুদ পাইলটের নেতৃত্বে ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ, অন্যটি পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টিতে। এমনকি দুর্বল কানাডার বিপক্ষেও হার মানতে হয়েছিল।

২০১১ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক বাংলাদেশ খেলেছিল সাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্বে। সেবার ৭ ম্যাচের দুটিতে এসেছিল জয়।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়কদের খতিয়ান

নাম

বিশ্বকাপ

ম্যাচ

জয়

হার

পরিত্যক্ত

জয়ের শতাংশ

মাশরাফি*

২০১৫/ ২০১৯

-

৫০.০০

হাবিবুল

২০০৭

-

৩৩.৩৩

সাকিব

২০১১

-

৪২.৮৫

খালেদ মাসুদ

২০০৩

০.০০

আমিনুল

১৯৯৯

 

-

৪০.০০

 

*চলমান