একাদশে না থাকলেও ইতিবাচক মিঠুন

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মিঠুনগত কয়েক বছর ধরে মিডল অর্ডারে নিয়মিত মোহাম্মদ মিঠুন। এই বিশ্বকাপেও তার ওপর আস্থা রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু ব্যাটে রান না থাকায় তিন ম্যাচ পরই লিটন দাসের কাছে জায়গা হারান তিনি। তবে দলে ডাক পেলেই যেন সেরাটা দিতে পারেন সেজন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখছেন বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যান।

বিশ্বকাপের প্রথম তিন ম্যাচে ২১, ২৬ ও ০ রান এসেছিল মিঠুনের ব্যাটে। তার ফর্মহীনতায় জায়গা পেয়ে লিটন অপরাজিত ৯৪ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। জায়গা পান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও, যদিও ২০ রানে আউট হন তিনি। তারপরও আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে মিঠুনের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বাস্তবতা বোঝেন তিনি, তাই দলে না থাকলেও নিজেকে প্রস্তুত রাখছেন। যে কোনও সময় প্রয়োজন পড়লে যেন নিজেকে উজার করে দিতে পারেন!

শনিবার রয়েল হারবার হোটেলের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বললেন মিঠুন, ‘এটাকে (দলে না থাকা) আমি ইতিবাচকভাবে দেখছি। আমার জায়গায় লিটন এসে ভালো করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ে ওর অনেক অবদান ছিল। শেষ ম্যাচেও খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। আমার কাজ নিজেকে তৈরি রাখা। যে কোনও সময় আমাকে আবার প্রয়োজন হতে পারে। আমি চেষ্টা করছি ঠিকঠাক মতো অনুশীলন করে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে, যেন সুযোগ এলেই দলকে কিছু দিতে পারি।’

র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকা আফগানিস্তানকে পেয়ে মোটেও নির্ভার থাকবে না বাংলাদেশ। বরং সতর্ক থেকেই ২২ গজে লড়বে লাল-সবুজ জার্সীধারীরা, এমনটাই মনে করছেন মিঠুন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বলে আরও সতর্ক থাকতে হবে। কেন না অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হারলে আপনারা সেটা মেনে নিবেন। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারলে মানতে পারবেন না। সবার প্রত্যাশা এই ম্যাচটি আমরা সহজেই জিতবো। আমি শুধু বলবো, প্রত্যেকটা ম্যাচই আমাদের কাছে সমান। সব ম্যাচই জেতার জন্য নামে দল। তারপরও এই ম্যাচে আমাদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন বিভাগেই উন্নতি দেখতে চান এই ব্যাটসম্যান, ‘আমাদের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং সব বিভাগে মনোযোগ দিতে হবে আমরা সেরাটা খেলতে পারি। আশা করি ভালো খেলেই ম্যাচটি জিততে পারবো।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে পেস ঠেকাতে কাজ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে স্পিনারদের মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রস্তুতির ভিন্নতা থাকলেও ব্যাটসম্যানদের ওপর আস্থা রাখছেন মিঠুন, ‘স্পিন তো বাংলাদেশ সব সময় ভালো খেলে। যদিও ওদের (আফগানিস্তান) বিশ্বমানের স্পিনাররা আছে। সত্যি কথা হচ্ছে যদি কোনও ব্যাটসম্যান ছন্দে থাকে তখন পেস ও স্পিন মানিয়ে নেওয়া খুব কঠিন কিছু না।’