ওজন কমিয়ে সফল সাকিব

ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে সাকিবচতুর্থ বিশ্বকাপ খেলছেন সাকিব আল হাসান। আগের তিন আসরে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও চলতি বিশ্বকাপে কাটাচ্ছেন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে মধুর সময়। এমন সাফল্যের রহস্য কী? সাকিব জানালেন, ওজন কমিয়েই তার এই সাফল্য।

বিশ্বকাপের আগে শরীর থেকে ৬ কেজি ওজন কমিয়েছেন সাকিব। সোমবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে চমৎকার জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ওজন কমানোর ফলেই কি এই সাফল্য? মুচকি হেসে সাকিবের উত্তর, ‘অনেকটা সেরকমই। শারীরিক ফিটনেস মানসিকভাবে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। ওজন কমাতে অনেক পরিশ্রম করেছি, এখন তাই স্বস্তি নিয়ে খেলতে পারছি। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে ফিজিক্যাল ফিটনেস জরুরি। এটা সম্ভব হয়েছে দেড় মাসের পরিশ্রমে। এর বাইরে তেমন কিছু করিনি।’

চলতি বিশ্বকাপ দুই হাত ভরে দিচ্ছে সাকিবকে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগারের মালিক এখন তিনি। আফগানদের বিপক্ষে ২৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে এই কীর্তি গড়েন সাকিব। এছাড়া বিশ্বকাপে ১ হাজার ১৬ রান ও সর্বোচ্চ ৩৩ উইকেট নিয়ে তিনিই বাংলাদেশের সেরা। তাছাড়া ২ সেঞ্চুরি ও ৩ হাফসেঞ্চুরিতে ৪৭৬ রান নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

ভারতের বিপক্ষে আফগানদের খেলা উইকেটে হয়েছে বাংলাদেশের ম্যাচ। সেই উইকেটে টস জিতে আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইবের ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তটা ছিল অস্বাভাবিক। যে সিদ্ধান্তে সাকিবও বিস্মিত, ‘আমরা বিস্মিত হয়েছি। কেননা এটা ব্যবহৃত উইকেট ছিল। আমরা ভেবে রেখেছিলাম টস জিতলে আগে ব্যাটিং করব। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা ভিন্ন ছিল। হয়তো তারা চেজ করতে পছন্দ করে। আবার অনেকে আগে ব্যাটিং করতে পছন্দ করে।’

এই উইকেটে কত রানের পরিকল্পনা ছিল? সাকিব বললেন, ‘সত্যি বলতে আমরা জানতাম আমাদের প্রয়োজনীয় রান বোর্ডে আছে। এটা অমন উইকেট নয়, যেখানে ৩০০-৩৫০ রান করা সম্ভব। আবার তাদের বোলিং অ্যাটাক ভালো। তাদের তিনজন ভালোমানের স্পিনার আছে। আমরা তাদেরকে ভালোভাবে সামলে নেওয়ার কারণে ২৬০ রানের মতো করেছি। আমাদের টার্গেট ছিল পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করে কমপক্ষে ২৪০ রান করার। প্রত্যাশার থেকে আমরা ২৫ রান বেশি করতে পেরেছি।’

দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচ জিতেছে। সব ম্যাচেই সেরার পুরস্কার জিতেছেন সাকিব। এই অলরাউন্ডার অবশ্য দলীয় প্রচেষ্টাকেই সামনে আনলেন, ‘এই ম্যাচে মুশফিক, রিয়াদ, তামিম ও মোসাদ্দেকের ভূমিকা প্রয়োজন ছিল। বিশেষ করে, এমন উইকেটে। বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও অবদান রেখেছে যে যার জায়গা থেকে। সব মিলিয়ে দলীয় প্রচেষ্টা না থাকলে এই ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল না।’