ভারতের বিপক্ষে বড় ইনিংস খেলার লক্ষ্য সৌম্যর

সৌম্য সরকারদুর্দান্ত ফর্ম নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে এসেছিলেন সৌম্য সরকার। যদিও প্রিমিয়ার লিগে বড় ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যান বিশ্বকাপে সেই ধারা ধরে রাখতে পারেননি। হতাশা ঝেরে ভারতের বিপক্ষে বড় ইনিংস খেলার প্রত্যাশা তার।

আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজে ৬৬ ও ৭৩ রানের দুটি ইনিংসকে তিন অঙ্কের ঘরে নিয়ে যেতে পারেননি সৌম্য। বিশ্বকাপে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে তিন ম্যাচে ভালো শুরু করেও ইনিংস লম্বা করতে না পারার আক্ষেপ আছে তার। ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে চোখ রেখে তাই নিজের সেরাটা দেওয়ার প্রত্যয় এই ব্যাটসম্যানের কণ্ঠে।

বৃহস্পতিবার টিম হোটেলের বাইরে সংবাদমাধ্যমকে সৌম্য বলেছেন, ‘ইনিংস বড় করতে পারছি না। পারলে ভালো লাগতো। যেহেতু আমি নিজেই খুশি না, তাই অন্য কারও খুশি হওয়ার কথা নয়। আরও দুটি ম্যাচ আছে, ওখানে ভালো করার চেষ্টা করব। বিশেষ করে, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওখানে আমি ভালো করলে নিচের দিকে চাপ কমবে। আশা করি সবার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব।’

বিশ্বকাপের ৬ ম্যাচে সৌম্যর রান ১১১, যেখানে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরের ইনিংসগুলো ৩০-৪০ রানরে মধ্যে আটকে থাকায় হতাশ তিনি। শেষ দুই ম্যাচে এখন পাখির চোখ করছেন তিনি, ‘যেভাবে খেলছি তাতে ৩০-৪০ রানের মধ্যে আউট হচ্ছি। আরও একটু সময় নিয়ে ৫০ প্লাস রান করা উচিত আমার। এটা করতে পারলে দলের পাশাপাশি নিজেরও লাভ হতো। আরও দুটি ম্যাচ আছে, দেখা যাক সেখানে এই কাজটা করতে পারি কিনা।’

বিশ্বকাপে তামিমের সঙ্গী হিসেবে ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করছেন সৌম্য। যদিও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে পাঠানো হয়েছিল লিটন দাসকে। সৌম্যকে খেলানো হয়েছিল পাঁচ নম্বরে। পজিশন পরিবর্তন করে একেবারেই ব্যর্থ বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৩ রানে আউট হওয়া সৌম্য জানালেন, টিম কম্বিনেশনের কারণেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে এমন পরিকল্পনা করা হয়েছিল, ‘সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এটা টিম গেম। দল যেখানে প্রয়োজন মনে করবে, সেখানেই আমাকে খেলার চেষ্টা করতে হবে। পজিশন নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। আমি সবসময়ই দলে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি।’

ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল করতে পারেন বলেই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন সৌম্য। ২০১৫ বিশ্বকাপে তরুণ এই ক্রিকেটারের সুযোগ পাওয়ার পেছনে তার বোলিং স্কিল গুরুত্ব পেয়েছিল। যদিও বল করার সুযোগ খুব একটা পান না সৌম্য। এই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই কেবল বোলিং করেছেন। নটিংহামের উইকেটে ৫৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছেন তিনি। বোলিং নিয়ে তার বক্তব্য, ‘আমি প্রিমিয়ার লিগে অনেক বোলিং করেছি। অপেক্ষায় ছিলাম সুযোগটা কাজে লাগানোর। অবশেষে সুযোগ কাজে লাগাতে পেরে ভালো লাগছে। সামনে সুযোগ পেলে সেটাও কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’