প্রাপ্তিও দেখছেন সৌম্য

ভারতের বিপক্ষে সাকিবের সঙ্গে সৌম্যর উইকেট উদযাপনবিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে হেরে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন ভেঙে গেছে মাশরাফিদের। এই হতাশার মাঝেও ইতিবাচক দিক খুঁজে পাচ্ছেন সৌম্য সরকার। এই ওপেনারের মতে, বাংলাদেশের এখন বড় রান তাড়া করার মানসিকতা তৈরি হয়েছে।

এজবাস্টনে ভারতের করা ৩১৪ রানের জবাবে বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৮৬ রানে। ২৮ রানের হারে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন ভাঙলেও লড়াই করার আত্মবিশ্বাস জন্মেছে টাইগার ক্যাম্পে। বিশ্বকাপের যাদের ফেভারিট ধরা হচ্ছে, সেই ভারতকে হারের আগপর্যন্ত চাপে রেখেছিল বাংলাদেশ।

শুধু এই ম্যাচ নয়, অস্ট্রেলিয়ার ৩৮১ রানের জবাবেও বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল দুর্দান্ত। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ৩২১ রান সহজেই টপকে গিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছিল মাশরাফিরা। ভারতের বিপক্ষে হারের পরও তাই ‘প্রাপ্তি’ দেখছেন সৌম্য।

হারের পর মিক্সড জোনে এই ওপেনার বলেছেন, ‘আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। সবচেয়ে বড় কথা আমরা ৩০০ বা তার বেশি রান তাড়া করার মানসিকতা পেয়েছি। (বিশ্বকাপে) করেছিও বা কাছাকাছি গিয়েছি (লক্ষ্যের)। কিভাবে বড় স্কোর তাড়া করতে হয়, সেই পথ আমরা বুঝেছি। কখন আক্রমণাত্মক খেলতে হয়, কখন স্লো ডাউন করতে হয়, বুঝেছি।’

ভারতের ব্যাটিংয়ে বড় স্কোরের ইঙ্গিত থাকলেও শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য অতটা কঠিন হয়নি। ৩১৫ রানের লক্ষ্য পাওয়া পর কী সম্ভব বলে মনে হয়েছিল? সৌম্যর উত্তর, ‘তাড়া করার মতোই ছিল স্কোর। শুরুটা দেখেশুনে করেছিলাম। কিন্তু তামিম ভাইয়ের পর আমিও আউট হয়ে গেলাম। আমার মনে হয়, আমাদের দুজনের একজন যদি লম্বা সময় খেলতে পারতাম, তাহলে সহজ হতো। শেষ দিকে সাইফউদ্দিন যেভাবে খেলেছে, তাতে আসলে ম্যাচটা আমাদের হাতেই ছিল।’

বিশ্বকাপে শুরুটা দারুণ করলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি সৌম্য। নিজেও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। ভারত ম্যাচের আগে জানিয়েছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই খেলায় ইনিংস লম্বা করতে চান। কিন্তু এজবাস্টনের ম্যাচেও পারেননি বিশ্বকাপে একবারও ফিফটি না পাওয়া এই ব্যাটসম্যান। সৌম্যর আক্ষেপ, ‘(আয়ারল্যান্ডে) ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনটা ফিফটি করলাম, কিন্তু ১০০ করতে পারলাম না। এখানে ৩০-৪০ রান করলেও ফিফটি হলো না। আরও ভালো করা দরকার ছিল।’

নিজের ব্যাটিং স্টাইল নিয়ে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বক্তব্য, ‘একেকজনের খেলার ধরন একেকরকম। আমারটা হয়তো আগ্রাসী থাকে। চেষ্টা করি নিজের ফ্লোতে খেলতে। দুই-একদিন হয়তো অতিরিক্ত ঝুঁকি হয়ে যায়। এগুলো যদি আরও নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, তাহলে ভালো হবে।’