আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। দুই দলই স্পিনকে মূল অস্ত্র বানিয়ে মাঠে নেমেছে। স্বাগতিকরা কোনও পেসারকে না নিয়ে মাঠে নামে; স্পিন আক্রমণ সাজায় সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসানকে নিয়ে। তাইজুলের স্পিনে শুরুটা দারুণই হয়েছিল। কিন্তু রহমত শাহ ও আসগর আফগানের ব্যাটে দিনটা শেষ হয়েছে হতাশায়।
বাংলাদেশের চার স্পিনারকে বেশ দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই আফগান ওপেনার ইহসানউল্লাহ ও ইব্রাহিম জাদরান। অবশেষে ১৩তম ওভারে এই প্রতিরোধ গড়া জুটি ভাঙেন তাইজুল। ইহসানকে ৯ রানে বোল্ড করেন বাংলাদেশি স্পিনার। ১৯ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। আফগান ওপেনারকে ফিরিয়ে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ক্যারিয়ারের ১০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছান তাইজুল। এরপর আরও এক ওপেনার তার শিকার হন। ৬৯ বলে ২১ রান করে লং অফে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ হন ইব্রাহিম। রহমতের সঙ্গে তার জুটি ছিল ২৯ রানের।
দ্বিতীয় সেশনে রহমতের সঙ্গে ক্রিজে নামেন আসগর। ৪২তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের দ্বিতীয় বলে একটি রান নিয়ে তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন রহমত, ৮৫ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে। তার সঙ্গে ক্রিজে শক্ত অবস্থান নেন আসগর। ৬৫তম ওভারে তার বিরুদ্ধে মিরাজের এলবিডব্লিউ আবেদনে আম্পায়ার আউট দেন। কিন্তু আফগান ব্যাটসম্যান রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ৪২ রানে।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই ব্রেক থ্রু আনেন নাঈম হাসান। তার স্পিনেই আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনে জোড়া আঘাত হানে বাংলাদেশ। প্রথম ৭ ওভারে ২৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকা এই অফ স্পিনার শেষ সেশনের প্রথম ওভারে আউট করেছেন রহমত ও মোহাম্মদ নবীকে। ১৮৬ বলে আফগানিস্তানের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান হওয়ার পরের বলেই রহমত ক্যাচ দেন সৌম্যকে, ভাঙে ১২০ রানের শক্ত জুটি। তার ১৮৭ বলে ১০২ রানের ইনিংসে ছিল ১০ চার ও ২ ছয়। ওই ওভারের শেষ বলে নবীকে শূন্য রানে বোল্ড করেন নাঈম।
বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন তাইজুল ও নাঈম। অন্যটি মাহমুদউল্লাহর।