প্রস্তুতি ম্যাচে মুশফিক-সাব্বিরদের হতাশা

প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবির জার্সিতে মুশফিক ও সাব্বিরজিম্বাবুয়ের প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের জার্সিতে নামার সুযোগ পান ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে থাকা চার ক্রিকেটার সাব্বির হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আফিফ হোসেন ও ইয়াসিন আরাফাত। নাম না থাকলেও হুট করে ব্যাটিংয়ে নামেন মুশফিকুর রহিমও। এই পাঁচজনকে নিয়েও স্বাগতিকরা জিততে পারেনি, এমনকি তাদের প্রস্তুতি যে খুব ভালো হয়েছে সেটাও নয়।

ব্রেন্ডন টেলরের হাফসেঞ্চুরি ও টিমিসেন মারুমার ঝড়ো ইনিংসে জিম্বাবুয়ানরা ম্যাচটি জিতেছে ৭ উইকেটে। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৪২ রান করে বিসিবি। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭.২ ওভারে ১৪৪ রান করে সফরকারীরা।

দীর্ঘদিন পর খেলা হচ্ছে ফতুল্লায়, তাও আবার টি-টোয়েন্টি। তাই তো খেলা দেখতে স্টেডিয়ামের সামনে ভিড় করতে থাকেন উৎসুক জনতারা। ১২টায় খেলা শুরুর পরও কেউ ঢুকতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েন। বিসিবি ও পুলিশের আলোচনার পর সিদ্ধান্ত পাল্টে দর্শকদের খেলা দেখতে সুযোগ করে দেওয়া হয়। হাজারের ওপর দর্শক প্রস্তুতি ম্যাচটি প্রাণভরে উপভোগ করলেন গ্যালারিতে বসে। কিন্তু জয়ের স্বাদ পাননি তারা।

এদিন সকাল ৯টায় মাঠে হাজির মুশফিকুর রহিম। আগের দিন ঘোষণা করা প্রস্তুতি ম্যাচের দলে তার নাম ছিল না। তবুও টেস্ট সিরিজের ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসতে খেললেন প্রস্তুতি ম্যাচটি। যদিও ব্যাটিং করেই চলে যান তিনি। ২৬ বলে ২৬ রান করে প্রস্তুতিটা ঠিক ভালো হলো না। 

জাতীয় দলে থাকা সাব্বির ও সাইফউদ্দিনের ব্যাটিং প্রস্তুতিও ঠিকমতো হয়নি। খেলতে পারেননি লম্বা ইনিংস। যদিও সাব্বিরের ব্যাট থেকেই এসেছে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩০ রান। সাইফউদ্দিন অপরাজিত ৭ রান করলেও বোলিংয়ে ছিলেন ব্যর্থ। ৩ ওভার বল করে ২০ রান খরচায় ছিলেন উইকেট শূন্য।

অন্যদিকে তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ বল হাতে দারুণ করলেও ব্যাটিংয়ে ছিলেন বিবর্ণ। ১০ রানে কাইল জার্ভিসের কাছে বোল্ড হন তিনি। বোলিংয়ে অবশ্য জিম্বাবুয়ের তিন উইকেটর সব এই অফস্পিনারের। ৪ ওভারে ১৯ রান দেন তিনি। টি-টোয়েন্টি দলে থাকা ইয়াসিন মাত্র ২ ওভার করে দিয়েছেন ২২ রান।

টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি বিসিবির। সাব্বির ও মুশফিকের পর সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন নাঈম শেখ। এছাড়া সাইফ হাসান করেন ২১ রান।

জবাব দিতে নেমে ১৬ বল হাতে রেখে সহজ জয়ে প্রস্তুতি সেরে রাখলো জিম্বাবুয়ে। টেলর খেলেন অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংস। তার সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ঝড়ো ৪২ রান যোগ করেন শেষ আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলতে যাওয়া হ্যামিলটন মাসাকাদজা। ৩১ রান করে আউট হন জিম্বাবুয়ান অধিনায়ক।

৬৬ রানে তিন উইকেট হারানোর পর টেলর ও মারুমার ৭৮ রানের অপরাজিত জুটিতে জিতেছে সফরকারীরা। টেলর ৪৪ বলের ইনিংসে মারেন ২ চার ও ৩ ছয়। মারুমা ২৮ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৪৬ রানে টিকে ছিলেন।