আফিফকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন। এই জুটিই দলকে এই সিরিজে মাথা উঁচু করে লড়াই করার রসদ জুগিয়েছে। আমাদের দলের কান্ডারীরা সবাই দারুণভাবে এই ম্যাচে আবারও ব্যর্থ হলেন। দলের অভিজ্ঞ ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের এমন ব্যাটিং দেখাটা সত্যি পীড়াদায়ক। সৌম্য, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির কেউই নামের প্রতি ন্যূনতম সুবিচার করতে পারেননি।
আউট অফ ফর্ম ব্যাটসম্যান দিয়ে ব্যাটিং অর্ডার লম্বা না করে জিম্বাবুয়ের মতো তিন সিমার নিয়ে খেলা যেতে পারে। মিরপুরের পিচে সিমারদের জন্য কিছুটা প্রাণ থাকে। এই ম্যাচে বেশ মুভমেন্ট দুই অর্ধেই দেখা গেছে। সাকিবের উচিত তার ব্যাটিংয়ের দিকে মনোযোগী হওয়া এবং পিচের সহায়তা না থাকলে তার কোটা ওভার পূরণ করাটা বোলিংয়েও বাঞ্ছনীয় নয়। তিনি একমাত্র ইনফর্ম ব্যাটসম্যান ছিলেন বিশ্বকাপে আমাদের দলে, তাই তার অফফর্ম দলকে খুব ভোগাচ্ছে এবং দুই প্রান্ত থেকেই উইকেটের পতন হচ্ছে। এর পাশাপাশি মুশফিকের রান না পাওয়াটা দ্রুত মিডল অর্ডারে ধস নামিয়ে দিচ্ছে।
১৪৫ রান করতে গিয়ে ম্যাচ জিতে হয়তো আনন্দ পাওয়া যায়, তবে আমাদের ৮ নম্বর ব্যাটসম্যানকে ৬০ রানের মাথায় পিচে আসতে হবে জিম্বাবুয়ের মতো একটা দলের বিপক্ষে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে সবসময় আপনি কখনোই সফল হবেন না। এই জয় স্বস্তি এনে দিলেও দলের মাঝে একটা বড় অস্বস্তির জায়গাও তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশের ফিল্ডিং প্রতিপক্ষের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে। তবে শেষ ৫ ওভারে বোলিংয়ে আমাদের আরও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। পেস বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ের পেসাররা ভালো বল করেছে। রায়ান বার্লের ব্যাটিং ছিল সত্যিই প্রশংসনীয় এবং সাব্বিরের যে ক্যাচটি তিনি নিয়েছেন, তা ছিল চোখ ধাঁধানো। বার্লের ব্যাটিং, লেগ স্পিন ও চমৎকার ফিল্ডিংয়ের কারণে ঘরোয়া ক্রিকেটের শর্টার ফরম্যাটে তাকে কোনও দলে নিশ্চয়ই দেখা যাবে।
দলকে অনেকদিন পর আবার বিজয়ের পথে ফিরিয়ে আনার জন্য আফিফ ও মোসাদ্দেককে ধন্যবাদ।