ওপেনিংয়ে নামতে ‘কাকুতি-মিনতি’ করতে হয়েছিল শচীনকে!

শচীন টেন্ডুলকার১৯৮৯ সালে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। ৫ বছর পর হয়ে গেলেন ওপেনার। তার জীবনের মোড় গেলো ঘুরে। রেকর্ড ৪৯টি সেঞ্চুরি নিয়ে শেষ করেছেন ক্যারিয়ার। এই ব্যাটিং গ্রেট দীর্ঘদিন পর জানালেন, ওপেনিংয়ে নামতে অনেক ‘কাকুতি-মিনতি’ করতে হয়েছিল তাকে।

১৯৯৪ সালের ২৭ মার্চ অকল্যান্ডের ওই ম্যাচে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের নেতৃত্বে ভারত হারায় নিউজিল্যান্ডকে। অজয় জাদেজার সঙ্গে প্রথমবার ওপেনিংয়ে নেমেই শচীন খেলেন ৮২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস, হন ম্যাচসেরাও। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। ওপেনার হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে যান ভারতের ওয়ানডে দলে। ওপেনার হিসেবে পরের চার ইনিংসে করেন ৬৩, ৪০, ৬৩ ও ৭৩ রান।

ওই মুহূর্তকে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন শচীন। লিঙ্কডইনে শেয়ার করা এক ভিডিওতে ওই সময়ের কথা মনে করলেন তিনি, ‘১৯৯৪ সালে আমি যখন ভারতের হয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করতে নামি, তখন সব দলের কৌশল ছিল উইকেট বাঁচানো। আমি যেটা করলাম, সেটা একটু আলাদা। আমি চিন্তা করেছিলাম আরও ওপরে উঠে প্রতিপক্ষ বোলারদের মোকাবিলা করবো। কিন্তু অনেক কাকুতি-মিনতি করে বলতে হয়েছিল, দয়া করে আমাকে একটা সুযোগ দিন। যদি ব্যর্থ হই, তবে আর কখনও এনিয়ে আপনাদের সামনে আসবো না।’

ভক্তদের জন্য এটি শিক্ষণীয় বললেন শচীন। সাবেক এই ব্যাটসম্যান তাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ব্যর্থতার ভয়ে কখনও ঝুঁকি নেওয়া থেকে পিছিয়ে পড়া চলবে না। ৪৬ বছর বয়সী এই ব্যাটিং গ্রেট বলেছেন, ‘ওই প্রথম ম্যাচে (অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে) আমি খেললাম ৪৯ বলে ৮২ রানের ইনিংস। তাতে আরেকটি সুযোগ পাওয়ার জন্য আর কখনও আমাকে চাইতে হয়নি। তারা নিজেরাই আমাকে ওপেন করতে বলেছিল। আমি বলতে চাচ্ছি, ব্যর্থতার ভয় কখনও করবেন না।’

৪৯ সেঞ্চুরির প্রথমটি শচীন করেছিলেন অভিষেকের পাঁচ বছর পর। ১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বরে কলম্বোতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেন তিনি, ওপেনার হিসেবেই।