এখন জাতীয় দলে চোখ সাইফের

শ্রীলঙ্কায় ‘এ’ দলের ওয়ানডে সিরিজ জয়ে বড় অবদান সাইফেরবয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই নির্বাচকদের নজরে সাইফ হাসান। এখনও অবশ্য জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি। ২০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বড় সমস্যা ধারাবাহিকতার অভাব। তবে সেই সমস্যা একটু একটু করে দূর হচ্ছে। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ভারত সফরের পর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইমার্জিং দলের হয়ে ভালোই পারফরম্যান্স ছিল সাইফের। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ‘এ’ দলের জার্সিতে সদ্যসমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজে তো দুরন্ত পারফরম্যান্স। শেষ ম্যাচে সাইফের অনবদ্য ইনিংসে ভর করে ম্যাচ এবং সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সারির দলটি।

দলের সাফল্যে অবদান রাখতে পেরে সাইফ আনন্দিত। ধারাবাহিকভাবে রান করেও তিনি খুশি। বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে কথা বলার সময় তার কণ্ঠে ফুটে উঠলো উচ্ছ্বাস, ‘গত প্রিমিয়ার লিগ থেকেই ভালো খেলছি। তখন থেকেই মধ্যে নিজের মধ্যে পরিবর্তন আনার, ধারাবাহিক হওয়ার চেষ্টা করেছি। সামনে জাতীয় লিগেও ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার চেষ্টা করবো।’

শ্রীলঙ্কায় সাফল্যের পর এখন তার চোখ জাতীয় দলে, ‘জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া নির্ভর করছে নির্বাচকদের ওপরে। আমার কাজ হলো পারফর্ম করা। ভালো খেললে ইনশাল্লাহ সুযোগ আসবেই। জাতীয় দলে খেলার জন্য অনেকদিন ধরেই নিজেকে প্রস্তুত করছি। ফিটনেস ভালো রেখে ব্যাটিং-ফিল্ডিংয়ে আরও উন্নতি করার চেষ্টা করছি। আসলে ভালো প্রস্তুতি নিয়ে জাতীয় দলে খেলতে পারলে আমারই সুবিধা হবে।’

শ্রীলঙ্কায় শেষ ম্যাচে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর সামনে দুর্দান্ত ইনিংস (১১২ বলে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১১৭ রান) উপহার দেওয়া সাইফ আরও বলেছেন, ‘প্রধান নির্বাচকের সামনে সেঞ্চুরি করা অবশ্যই বিশেষ কিছু। তবে আমি প্রতিটি ম্যাচেই ভালো খেলার চেষ্টা করি।’

শুধু ব্যাটিংয়ে নয়, শ্রীলঙ্কায় বল হাতেও সাফল্য পেয়েছেন তিনি। অফব্রেক বোলিংয়ে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ‘এ’ দলের ওয়ানডে সিরিজ জয়ে বড় অবদান তার। ‘তাহলে কি ভবিষ্যতে অলরাউন্ডারের ভূমিকায় আপনাকে দেখা যাবে?’ এমন প্রশ্নে সাইফের জবাব, ‘আমি ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। টুকটাক বল করার অভ্যাস থাকলেও আমার আসল কাজ হলো ব্যাটিং। সেটাতেই বেশি মনোযোগ দিতে চাই।’