বিসিবির সভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় কোয়াবের সংবাদ সম্মেলন। যেখানে পদত্যাগ না করার ইঙ্গিত দিয়ে সংগঠনটির সভাপতি ও বিসিবি পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, ‘আমাদের না চাইলে চলে যাবো। আমরা এটা আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইও না। নতুন নেতৃত্ব এলেই ভালো। কিন্তু সবকিছু অন দ্য প্রসেসে আসতে হবে।’
কোয়াব শুধু বর্তমান ক্রিকেটারদের সংগঠন নয় জানিয়ে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘কোয়াব তাদের (বর্তমান ক্রিকেটারদের) জন্য কাজ করছে না, এটা তারা মনে করছে। কিন্তু এটা কেবল তাদের সংগঠন নয়। এটা সাবেক-বর্তমান সব ক্রিকেটারের সংগঠন। আমরা সব সময় কিছু কিছু দাবি বোর্ডে উপস্থাপন করেছি। কাজেই এসব জায়গায় প্রশ্ন তোলা দুঃখজনক।’
ক্রিকেটারদের ধর্মঘট প্রসঙ্গে দুর্জয় বলেন, ‘আমরা অবশ্যই চাই খেলোয়াড়রা মাঠে ফিরে আসুক। আমাদের অনুরোধ থাকবে তারা যেন মাঠে ফিরে আসে। তাদের ফোন দিয়ে পাওয়া যায় না। অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে কিন্তু ক্রিকেটাররা ক্যাম্প বর্জন করেনি। খেলা চালিয়ে গিয়েও আন্দোলন করা যায়।’
কোয়াবের সহ-সভাপতি খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, বর্তমান ক্রিকেটারদের কেউ দায়িত্ব নিতে রাজি নয়, “তিন বছর ধরে বলছি, ‘তোমরা আসো, নির্বাচন করো।’ কিন্তু তারা (বর্তমান ক্রিকেটাররা) কেউ আসে না। এটা কি আমাদের দোষ? তারা শুধু নিজেদের সমস্যা নিয়ে ভাবে। বেতন বাড়ানোর কথা বলে, বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে। কিন্তু কেউ দায়িত্ব নিতে চায় না। আজকে আমি আর দুর্জয় না থাকলে আমরা যে ফাইট করছি সেটা কেউ করতে পারতো না। আমি আর দুর্জয় বোর্ড পরিচালক বলেই আমরা ক্রিকেটারদের হয়ে ফাইট করতে পারছি। কিন্তু কেউ তো সে কথা বলে না।”