২০০০ সালে অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়। এরপর গত ১৯ বছরে বাংলাদেশ আরও ৯ অধিনায়কের অধীনে খেলেছে- খালেদ মাসুদ, খালেদ মাহমুদ, হাবিবুল বাশার, মোহাম্মদ আশরাফুল, মাশরাফি মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ। এবার সেই তালিকায় যোগ দিলেন মুমিনুল।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক। তার নেতৃত্বে সবচেয়ে বেশি ৩৪ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জিতেছে ৭টি। ১৮টি হারলেও ড্র করেছে ৯ ম্যাচে।
বাংলাদশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুরের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ৭ ম্যাচে ৬টি হারে, ড্র করে অন্যটি। খালেদ মাসুদ ১২টি ও খালেদ মাহমুদ ৯ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন এবং দুজনই ছিলেন ব্যর্থ। তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সবগুলো ম্যাচ হারে।
বাংলাদেশের চতুর্থ টেস্ট অধিনায়ক ছিলেন বাশার। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ প্রথমবার টেস্ট জেতে ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সব মিলিয়ে তিনি অধিনায়কত্ব করেন ১৮ ম্যাচে। জয় ছিল ওই একটিই, বাকি সময়ে ১৩ হার ও ৪ ড্র।
এরপর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পান আশরাফুল। তার অধীনে বাংলাদেশ খেলেছে ১৩ ম্যাচ, ১২টি হার ও একটি ড্র করে দল। মাশরাফি অধিনায়ক ছিলেন একটি টেস্টে, ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওই ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। পরে সাকিব দলকে নেতৃত্ব দেন। ওই ম্যাচটি জেতার কারণে মাশরাফির নামের পাশেই শতভাগ সাফল্য লেখা আছে।
সাকিব অধিনায়কত্ব করেন ১৪ টেস্টে। তার নেতৃত্বে ৩টি জয় ও ১১টি হারের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। এরপর সবচেয়ে দীর্ঘ সময় পাঁচ দিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করেন মুশফিক। ৩৪ ম্যাচে তার অধীনে সর্বোচ্চ ৭ ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। এছাড়া তামিম একটিতে নেতৃত্ব দিয়ে হেরে যান এবং মাহমুদউল্লাহ ৬ ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে একটি জয় পান, পাশাপাশি ৪ হার ও ১ ড্রয়ের স্বাদ পান এই অলরাউন্ডার।