গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

নাঈম ও শান্তর জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে বাংলাদেশহংকং ও ভারতের পর নেপালকে ৮ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ। আগামী বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে তারা খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

‘বি’ গ্রুপে তিন ম্যাচের সবগুলো জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে বাংলাদেশ।  এদিন হংকংকে ১২০ রানে হারিয়ে ৪ পয়েন্টে গ্রুপ রানার্স-আপ হিসেবে তাদের সঙ্গে শেষ চারে ভারত। তিন ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তান, আর পাকিস্তান গ্রুপের খেলা শেষ করেছে দ্বিতীয় স্থানে থেকে। সেমিফাইনালে তারা খেলবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে।

সোমবার বিকেএসপির  চার নম্বর মাঠে সুমন খান ও মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদির বোলিং নৈপুণ্যে নেপালকে ১৩৮ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। ৪৪.৩ ওভারে শেষ হয় নেপালের ইনিংস। নাজমুল হোসেন শান্তর অপরাজিত ফিফটিতে মাত্র ২৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিকরা। ২ উইকেটে ১৪০ রান করে তারা।

সুমনের পেস ও  আফ্রিদির লেগস্পিনের সামনে অসহায় ছিল নেপালের ব্যাটিং লাইন আপ। অধিনায়ক ও ওপেনার জ্ঞাণেন্দ্র মাল্লা ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করেন। ৯ নম্বর ব্যাটসম্যান সোমপাল কামির ব্যাট থেকে আসে ইনিংস সেরা ৩৮ রান।

আগের দুই ম্যাচে চারটি করে উইকেট নেওয়া সুমন নেপালের ৩ ব্যাটসম্যানকে ‍সাজঘরে পাঠান। সমান উইকেট নেন আফ্রিদি। দুটি করে পান তানভীর ইসলাম ও মেহেদী হাসান।

টানা দুই ফিফটি করা সৌম্য সরকার (১১) এদিন জ্বলে উঠতে ব্যর্থ। ‍৩৪ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙলে শান্ত ও মোহাম্মদ নাঈমের ৭৯ রানের জুটি সহজ জয়ের পথ তৈরি করে দেয়। নাঈম দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি, ৪৫ রানে ‍আউট হন এই ওপেনার।

ইয়াসির আলীকে নিয়ে ২৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জেতান শান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়ক ৫৬ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ‍৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। ইয়াসির খেলছিলেন ১৮ রানে।