‘আম্পায়ারেরও গোলাপি বলের অনুশীলনে থাকা উচিত’

jpegক্রিকেটে সাধারণত লাল ও সাদা বলেই অভ্যস্ত আম্পায়াররা। হঠাৎ করে গোলাপি বলে খেলা হলে সেটা খেলোয়াড়ের সঙ্গে আম্পায়ারদের জন্যও কঠিন হয়ে ওঠে বলে মনে করছেন সাবেক আইসিসি আম্পায়ার সাইমন টফেল।

শুক্রবার শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের দিবা-রাত্রির টেস্ট। ইডেন গার্ডেনসের এই ম্যাচ দিয়েই দল দুটি প্রথমবার নামতে যাচ্ছে গোলাপি বলের ক্রিকেটে। প্রস্তুতিতে তাই কমতি নেই খেলোয়াড়দের। শুধু তাদের জন্য নয়, গোলাপি বলে সিদ্ধান্ত দিতে ফিল্ড আম্পায়ারদের সামনেও চ্যালেঞ্জ দেখছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার টফেল।

অ্যাডিলেডে ইতিহাসের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্টে আইসিসির আম্পায়ার পারফরম্যান্স ও ট্রেনিং ম্যানেজার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টফেল। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা আম্পায়ার হিসেবে অবসরে যাওয়া এই অস্ট্রেলিয়ানের মতে, গোধূলির সময় বল দেখতে ব্যাটসম্যানের সঙ্গে আম্পায়ারদেরও সমস্যা হয়। এজন্য খেলোয়াড়দের নেট অনুশীলনের সময় আম্পায়ারদেরও সেখানে উপস্থিত থাকা উচিত বলে মনে করছেন তিনি।

আজ (মঙ্গলবার) ভারতীয় সংবাদ সংস্থা ‘পিটিআই’কে টফেল বলেছেন, ‘জানি না তারা (আম্পায়ার) বিশেষ ধরনের কোনও লেন্স ব্যবহার করেন কিনা। বিষয়টা একেবারেই তাদের ওপর নির্ভর করে। তবে তারা যতটা সম্ভব নেট অনুশীলনে থাকতে পারে।’

সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘তারা খেলোয়াড়দের নেট অনুশীলনে যাবেন এবং বল দেখার কাজটা করবেন। আম্পায়ারেরও গোলাপি বলের অনুশীলনে থাকা উচিত। তাহলে সঠিক বিষয়টা তাদের চোখে ধরা পড়বে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’

গোধূলি সময়কে গোলাপি বল দেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন টফেল, ‘গোধূলির সময়, যখন আলোর পরিবর্তন হয়- এটা ব্যাটসম্যানদের বল দেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন সময়। আমার মতে, একই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন আম্পায়াররাও। ব্যাটসম্যানদের মতো বল দেখতে তারাও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। পিটিআই