রাওয়ালপিন্ডিতে ড্র টেস্টে আবিদ-বাবরের কীর্তি

আবিদ আলীর ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরিবৃষ্টিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন অল্প সময় খেলা হলেও ভেসে যায় চতুর্থ দিন। তাতেই রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের ফলাফল নিশ্চিত হয়ে গেছে। প্রত্যাশিতভাবে ড্র হয়েছে ১০ বছর পর পাকিস্তানে হওয়া প্রথম টেস্ট। যেই ম্যাচে ইতিহাস গড়েছেন আবিদ আলী। দেশের মাটিতে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরির উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন বাবর আজম।

ড্র হলেও এই টেস্ট দিয়ে পিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অনার্স বোর্ডে ১৪ বছরের খরা কাটিয়ে নতুন তিনটি নাম উঠলো। সবশেষ ২০০৪ সালে রাহুল দ্রাবিড় (২৭০) এই মাঠে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এবার সেখানে যোগ দিলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, আবিদ ও বাবর।

৬ উইকেটে ২৮২ রানে শ্রীলঙ্কা রবিবার মাঠে নামে। ধনঞ্জয়া পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করেন ৮৭ রানে অপরাজিত থেকে। ১৬৫ বলে ১৫ চারে সেঞ্চুরি করার পর আর একটি বল খেলেন। এরপরই ৬ উইকেটে ৩০৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন ধনঞ্জয়া।

শাহীন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন পাকিস্তানের পক্ষে।

দেশের মাটিতে প্রথম টেস্টে শান মাসুদ সুবিধা করতে পারেননি। ১২ বল খেলে ‘ডাক’ মারেন তিনি। এরপর আবিদের সঙ্গে আজহার আলী ৮৭ রানের জুটি গড়েন। ৮১ বলে চারটি চারে ৩৬ রান করে আউট হন পাকিস্তান অধিনায়ক।

বাবর আজমের সেঞ্চুরি উদযাপনআর কোনও উইকেট হারায়নি পাকিস্তান। আবিদ ও বাবরের ১৬২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিন শেষ হয়। এর আগে ১৮৩ বলে ১১ চারে সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়েন আবিদ। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে ও টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরির কীর্তি তার। এই বছরের মার্চে দুবাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে ওয়ানডে শুরু করেন ৩২ বছর বয়সী এই ওপেনার। ম্যাচসেরাও হয়েছেন আবিদ।

১১৮ বলে ১৪ চারে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান বাবর। তিনি ১২৮ বল খেলে ১০২ রানে অপরাজিত থাকতে দিনের শেষ হয়। আবিদ অপরাজিত ছিলেন ২০১ বলে ১১ চারে ১০৯ রান করে। পাকিস্তানের ইনিংস থামে ২ উইকেট ২৫২ রানে।