প্রথম তিন ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগই মেলেনি মিরাজের। পরের তিন ম্যাচে ক্রিজে থাকলেও ব্যাটে ছিল রানখরা। রাজশাহী রয়্যালস ও রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে গত দুই ম্যাচে ওপেনারের ভূমিকায় নেমে স্কোর ছিল ০ ও ১২। তবে সিলেটকে পেয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৮৭ রান করলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
সিলেটের করা ৪ উইকেটে ১৫৭ রান তাড়া করতে নেমে সহজ জয়ের ইঙ্গিত পায় খুলনা। ১৭.৫ ওভারে ২ উইকেটেই ১৫৮ রান করে তারা। এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মিরাজের। আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তও দারুণ ভূমিকা রাখেন। দুজনের জুটি ছিল ১১৫ রানের। ৩১ বলে ৫ চারে ৪১ রানে আউট হন শান্ত। উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেও খুলনার রানের গতি সচল ছিল মিরাজের ব্যাটে।
৩১ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করেন মিরাজ। তার সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয় থেকে ১০ রান দূরে রেখে আউট হন রাইলি রুশো (১৫)। খুলনার জয়ে মিরাজের সঙ্গী ছিলেন মুশফিকুর রহিম। ৩ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক। মিরাজের ৬২ বলের অপরাজিত ইনিংসে ছিল ৯ চার ও ৩ ছয়। খুলনার পঞ্চম জয়ে ম্যাচসেরা ছিলেন এই ২২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেট সুবিধা করতে পারেনি। আন্দ্রে ফ্লেচার ও রুবেল মিয়ার ৬২ রানের উদ্বোধনী জুটির পর আর কেউ বড় স্কোরে অবদান রাখেননি। রুবেল ইনিংস সেরা ৩৯ রান করেন। ৩৭ রান আসে ফ্লেচারের ব্যাটে। শেষ দিকে শেরফান রাদারফোর্ড (২৬*) ও মোসাদ্দেক হোসেনের (২৩*) অপরাজিত ইনিংসে দেড়শ ছাড়ায় সিলেট।
খুলনার পক্ষে শহীদুল ইসলাম ও রবি ফ্রাইলিঙ্ক সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন।
বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলে রাজশাহী রয়্যালসকে স্পর্শ করেছে খুলনা। দুই দলের সমান ১০ পয়েন্ট। তবে এক ম্যাচ কম খেলে দ্বিতীয় স্থানে রাজশাহী, ৭ ম্যাচ খেলে তিনে খুলনা। ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্টে সবার উপরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।