ওয়াহাবের গতিতে তছনছ রাজশাহী

ম্যাচসেরাও হয়েছেন ওয়াহাবঢাকা প্লাটুনের বঙ্গবন্ধু বিপিএল শুরু হয়েছিল রাজশাহী রয়্যালসের কাছে হেরে। এবার মাশরাফি মুর্তজার দল তাদের ৭৪ রানে হারিয়ে প্রতিশোধ নিলো সেই হারের। তামিম ইকবালের সঙ্গে দুই পাকিস্তানি আসিফ আলী ও ওয়াহাব রিয়াজের নৈপুণ্যে জয়ে ফিরেছে ঢাকা।

তামিম ও আসিফ দুজনেই হাফসেঞ্চুরি করেন এবং তাদের দারুণ জুটির সৌজন্যেই ঢাকা তোলে ৫ উইকেটে ১৭৪ রান। চ্যালেঞ্জিং রান তাড়া করতে নেমে ওয়াহাবের গতিতে টালমাটাল হয়ে পড়ে রাজশাহী। ১৬.৪ ওভারে তাদের ১০০ রানে অলআউট করতে ৫ উইকেট নেন পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার। সতীর্থ থিসারা পেরেরার পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এই বিপিএলে এমন কীর্তি গড়লেন ওয়াহাব। এবারের টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত তার বোলিং ফিগারই সেরা: ৩.৪-১-৮-৫। 

৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট ঢাকার, চার নম্বরেই তারা। আর এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্টে দুই থেকে তিনে নেমে গেছে রাজশাহী। সমান ম্যাচ খেলে একই পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় খুলনা টাইগার্স। ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ঢাকার। ২০ রানে প্রথম উইকেট হারানো দলটির ৮৪ রানেই নেই ৫ উইকেট। একপ্রান্ত আগলে রাখা তামিমের সঙ্গে দলকে ধ্বংসস্তুপ থেকে টেনে তোলেন আসিফ। দুজনের মধ্যে বেশি আগ্রাসী ছিলেন পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ২৪ বলে ৪টি করে চার ও ছয়ে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। তামিম ৩ চার ও ১ ছয়ে এবারের প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ফিফটি ছোঁন ৪৪ বল খেলে।

এই বিপিএলে তামিমের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি৯০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ার পথে তামিম অপরাজিত থাকেন ৫২ বলে ৬৮ রানে, আর ২৮ বলে ৫৫ রানে আসিফ।

লক্ষ্যে নেমে আফিফের ঝড়ো ইনিংসে আশা জাগানিয়া শুরু করে রাজশাহী। লিটন দাসের সঙ্গে তার উদ্বোধনী জুটিতে ৩ ওভারে ৩৯ রান করে তারা। এরপরই বড় ধস। তৃতীয় ওভারে ওয়াহাব বল হাতে নিয়ে লিটন (১০), অলক কাপালি (০) ও শোয়েব মালিককে (০) ফেরান।

পরে আফিফও ইনিংস সেরা ৩১ রানে ফিরে গেলে আর দাঁড়াতে পারেনি রাজশাহী। নাহিদুল ইসলামের (১৪) পর কামরুল ইসলামকে(৭) নিজের পঞ্চম শিকার বানান ওয়াহাব। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তারই হাতে।