অস্ট্রেলিয়াকে জিততে দেয়নি বাংলাদেশ

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল (ফাইল ছবি)আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্দা উঠবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের। তার আগে একে অন্যের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে অংশ নিতে যাওয়া দলগুলো। দক্ষিণ আফ্রিকার কঠিন কন্ডিশনে প্রস্তুতির শুরুটা দারুণ হয়েছে বাংলাদেশের। সোমবার শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে জিততে দেয়নি তারা। ৪৩ ওভারের ম্যাচে বাংলাদেশের ৬ উইকেটে করা ২৫০ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ২৫০ রানে। তাতে টাইয়ে শেষ হয় প্রিটোরিয়ার ওয়ার্মআপ ম্যাচটি।

মূল মঞ্চে নামার আগে কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো জরুরি ছিল বাংলাদেশের। বিশেষ করে, আফগানিস্তানের সঙ্গে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার হতাশা ছিল বাংলাদেশ শিবিরে। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ওয়ার্মআপ ম্যাচে ব্যাট-বলে দারুণ লড়াই করে এই মুহূর্তে নিশ্চিতভাবেই কিছুটা হলেও স্বস্তিতে যুবারা।

সোমবার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ৭০ রানের ওপেনিং জুটি পায় তারা। ওপেনার তানজিদ হাসানের ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান, আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ৫২ রান করে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তৌহিদ হৃদয়ও করেছেন হাফসেঞ্চুরি। ৫৭ বলে করেন ৫৩ রান।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেছেন ৬ নম্বরে নামা শামীম হোসেন। তার ৩৩ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ৩ ছয় ও ৩ চারে সাজানো শামীমের ইনিংসটি।

২৫১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটি ভালোই শুরু করেছিল। তবে মাহমুদুল হাসানের থ্রোতে রানআউট হয়ে স্যাম ফেনিং (৪৪) সাজঘরে ফিরলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এরপরই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন বাংলাদেশের বোলাররা। যদিও লকলান হার্ন (৪১) ও কোরি কেইলের (৪৪) জুটিতে শঙ্কা জন্মেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। তবে রোমাঞ্চকর ম্যাচের শেষ দুই বলে শরিফুল ইসলাম ২ উইকেট তুলে নিলে ৪৩ ওভারে বাংলাদেশের সমান ২৫০ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের ফল ‘টাই’।

বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার শরিফুলই। ৭ ওভারে ৩৯ রান খরচায় তিনি পেয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ ২৭ রানে ২টি এবং শাহীন আলম ও তৌহিদ হৃদয় নেন একটি করে উইকেট।